নিয়োগপত্রে লেখা পার্শ্বশিক্ষক! অনিয়মের অভিযোগ টেট-বিক্ষোভের আঁচ রাজ্যজুড়ে
টেট বিক্ষোভে তুলকালাম রাজ্য। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ রাতভর অবরোধ-বিক্ষোভের পর সকাল থেকে চলছে অবস্থান।
কলকাতা, ১৭ ফেব্রুয়ারি : টেট বিক্ষোভে তুলকালাম রাজ্য। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ রাতভর অবরোধ-বিক্ষোভের পর সকাল থেকে চলছে অবস্থান। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য পেলে পর্ষদে তা পাঠাবে বলে জানিয়েই দায় সারতে চাইছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিল। এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতা থেকে কোচবিহার, বারাসত থেকে বীরভূমে।[টেটের কাউন্সেলিংয়ে চূড়ান্ত অস্বচ্ছতা, কেন বারবার কাঠগড়ায় পর্ষদ ও রাজ্য সরকার? ]
শুধু নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার দাবিই নয়, নতুন করে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে নামের পাশে পার্শ্ব শিক্ষকের তকমা লাগিয়ে দেওয়ার বিষয়টি। এমনক কাউন্সেলিংয়ের সময় আকরিপ্রার্থীদের কাছে পার্শ্বশিক্ষকের সার্টিফিকেটও চাওয়া হচ্ছে। পর্ষদ এই মর্মে সাফাই দিচ্ছে, ফর্ম ফিলাপের সময় প্রার্থীরা সবাই পার্শ্বশিক্ষকের অপশনে টিক দিয়েছেন, তাই পার্শ্বশিক্ষক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মধ্যে সবথেকে বেশি উত্তেজনা ছড়ায় বারাসত মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল হাইস্কুলে। এখানে কাউন্সেলিংয়ের কথা ছিল প্রায় শ'তিনেক প্রার্থীর। সবার কাছেই পার্শ্বশিক্ষকের সার্টিফিকেট চাওয়া হয়। প্রষদের সাফাই শোনার পরই প্রার্থীরা পাল্টা দাবি করেছেন, তাঁরা কেউ পার্শ্বিশিক্ষকের অপশেন টিক দেননি। এক-আধজনের ভুল হতে পার, সবার একসঙ্গে ভুল হওয়া অসম্ভব। এখানেই কারচুপি লুকিয়ে রয়েছে। তাঁরা অনশন বিক্ষোভ শুরু করেন। অবরোধ করা হয় রাস্তা। রাতভর বিক্ষোভ চলে। এদিন সকাল থেকেও অবস্থান বিক্ষোভ চলছে।
কোচবিহার, বর্ধমান, বীরভূম-সহ অন্যান্য জেলাতেও বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে। সেখানে প্রথমে নিয়োগপত্র হাতে দেওয়া হয়নি। পরে নিয়োগপত্র হাতে পেলেও তাতে লেখা পার্শ্বশিক্ষক। তাতেই বিক্ষোভর আঁচ ছড়িয়ে পড়ে জেলাজুড়ে।