চিটফান্ডের টাকা কোথায় আছে জানেন, তাহলে সিবিআই জানতে পারল না কেন? মোদিকে প্রশ্ন সুজনের
প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করে সোমবার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আপনি বলেছেন, চিটফান্ডের টাকা কোথায় আছে সবাই জানেন। তাহলে আপনার সিবিআই জানতে পারল না কেন?
কলকাতা, ২১ নভেম্বর : চিটফান্ডকাণ্ডে ফের মোদি-দিদি গোপান আঁতাতের অভিযোগ তুলে ধরল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করে সোমবার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'আপনি বলেছেন, চিটফান্ডের টাকা কোথায় আছে সবাই জানেন। তাহলে আপনার সিবিআই জানতে পারল না কেন?
আসলে মোদিভাই আর দিদিভাইয়ের গোপান আঁতাতের ফলেই চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্তের কোনও অগ্রগতি হয়নি। সুজনবাবু বলেন, রাজনীতির খেলায় গরিব মানুষগুলের সর্বনাশ হচ্ছে। তাঁরা তাঁদের সঞ্চিত অর্থ ফেরত পাচ্ছেন না। দোষীরাও কোনও শাস্তি পাচ্ছে না। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে সারদা তথা চিটফান্ড তদন্ত থমকে রয়েছে। ৫৬ ইঞ্চি ছাতির প্রধানমন্ত্রী সব জেনেও কিছু করছেন না। আসলে পুরো তদন্তই প্রভাবিত কেন্দ্রের দ্বারা। এদিন কংগ্রেস বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানও বলেন, মোদি-দিদি আঁতাতের ফলেই এই তদন্ত থমকে রয়েছে।
এদিন ধর্মতলায় চিটফান্ডের আমানতকারীদের নিয়ে যৌথ একটি সমাবেশের আয়োজন করে বাম ও কংগ্রেস। আমানতকারীরা তাঁদের অর্থ ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান ধর্মতলার সমাবেশে। সেই সমাবেশেই একযোগে বিজেপি ও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন সুজনবাবু।
উল্লেখ্য, গতকাল মোদি উত্তরপ্রদেশে পরিবর্তন যাত্রায় মমতার নাম না করেই সুতীব্র আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেছিলেন চিটফান্ডের টাকা কোথায় আছে, কার কাছে আছে তা সবাই জানেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই ভাষ্য তুলে ধরেই সুজনবাবুর উক্তি, তাহলে কেন সিবিআই তাঁদের ধরতে পারল না? তাহলে কি এই চিটফান্ড-তদন্ত ইচ্ছকৃতই এগোতে দেওয়া হয়নি? তাঁর দাবি, দয়া করে রাজনীতির খেলায় গরিব মানুষগুলোর সর্বনাশ করবেন না।
এদিন এই প্রসঙ্গে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমকে আক্রমণ করে বলেন, ওরা কি সাধু? ওরা সব ডাকাত। ১৯৮২ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সমস্ত চিটফান্ডের বাড়বাড়ন্ত চলেছিল। তখন ওদের ক'জন গ্রেফতার হয়েছে? এখন সব সাধু সাজছে।