পাহাড়-হিংসার আঁচ এবার সমতলেও, মোর্চার অস্ত্র-মিছিল আটকাতেই রণক্ষেত্র সুকনা
খুকরি ও তলোয়ার নিয়ে মোর্চা সমর্থকদের মিছিলে বাধা দিতেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির তৈরি হয় সুকনায়। সংঘর্ষ বাধে মোর্চা সমর্থক আর পুলিশ বাহিনীর।
ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল দার্জিলিং। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মোর্চার আন্দোলন এবার পাহাড় ছাড়িয়ে নেমে এল সমতলে। সমতলে নেমে অস্ত্র হাতে মিছিল করলেন মোর্চা সমর্থকরা। সেই মিছিল আটকাতেই পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল শিলিগুড়ির সুকনা।
পুলিশ-মোর্চা খণ্ডযুদ্ধে আহত হলেন দু'পক্ষেরই বেশ কয়েকজন। মোর্চার আক্রমণে খুকরির আঘাত লেগে রক্তাক্ত হল ওসি-র হাত। মোর্চা সমর্থকদের রোষানলে ভাঙচুর হয় পুলিশের গাড়ি। পাল্টা পুলিশের গুলিতে তাঁদের সমর্থক আহত হন বলে অভিযোগ মোর্চার।
শনিবার খুকরি ও তলোয়ার নিয়ে মোর্চা সমর্থকরা মিছিল করে শিলিগুড়ির সুকনায়। সেই মিছিল দার্জিলিং মোড়ের দিকে এগনোর চেষ্টা করতেই পথ আটকায় পুলিশ। মিছিলে বাধা দিতেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির তৈরি হয় শিলিগুড়িতে। সংঘর্ষ বাধে মোর্চা সমর্থক আর পুলিশ বাহিনীর।
মোর্চা ইটবৃষ্টি শুরু করে। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। নামানো হয় জলকামান। মোর্চা অভিযোগ করে পুলিশ তাঁদের লক্ষ্য করে এদিন ফের গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতেই তাঁদের এক সমর্থক জখম হয়েছেন বলে দাবি মোর্চা নেতৃত্বের।
এদিন পাহাড় থেকে মিছিল নেমে আসে সুকনায়। অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে মোর্চা সমর্থকরা গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের নামেও স্লোগান চলতে থাকে। এই মিছিল শিলিগুড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলেই বাধা দেয় পুলিশ। তখনই খুকরির আঘাতে প্রধাননগর থানার ওসি সঞ্জয় ঘোষের আঙুল কেটে যায় বলে অভিযোগ।
তারপরই রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করে মোর্চা সমর্থকরা। টায়ারে আগুন লাগিয়ে অবরোধ করা হয় ওই রাস্তা। পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে জলকামান নিয়ে আসা হয়। পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সমস্ত গাড়ি আটকে দেয় মোর্চা। বিক্ষোভের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয় মোর্চার তরফে।
অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী আসে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। তখনই এক মোর্চা সমর্থক জখম হন। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। মোর্চা অভিযোগ করে গুলি চালানো হয়েছে। পুলিশ তা অস্বীকার করেছে। প্রতিবাদে রবিবারও মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে শিলিগুড়িতে।