পাহাড় ফের রণক্ষেত্র, নেতা গ্রেফতার হতেই মোর্চা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ
মোর্চা নেতা নরবুজি লামা গ্রেফতার হওয়ার পরই পাহাড় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। আবারও এক নেতাকে গ্রেফতা্র করতেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি।
সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও ভাঙচুরের ঘটনায় ফের এক মোর্চা নেতাকে গ্রেফতারের পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দার্জিলিং। মোর্চা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধল পুলিশের। মোর্চা সমর্থকরা চড়াও হলে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। রবিবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দার্জিলিংয়ের চকবাজার। সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ জন মোর্চা কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিন সকালে চকবাজার এলাকায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভা চলছিল। সেইসময় মোর্চার সেন্ট্রাল কমিটির নেতা তিলকচাঁদ রোকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাতেই আগুনে ঘি পড়ে। পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মোর্চার কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ মোর্চা সমর্থকদের প্রতিহত করে। পাল্টা লাঠিচার্জ করা হয় বলেও অভিযোগ।
ধৃত তিলকচাঁদ রোকার বিরুদ্ধে সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অশান্তি বাঁধানোর অভিযোগ রয়েছে। এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ৮ জুন মুখ্যমন্ত্রীর সফর চলাকালীন অশান্তি বাঁধানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল মোর্চা নেতা নরবুজি লামাকে। মোর্চার প্রথম সারির ওই নেতা গ্রেফতার হওয়ার পরও এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। এদিনও ফের একই চিত্র পাহাড়ে।
সপ্তাহখানেক শান্ত থাকার পর পাহাড় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শুক্রবার রাত থেকে। শুক্রবার রাতে দার্জিলিংয়ের চকবাজারে বিস্ফোরণ হয়। শনিবার রাতে আবার বিস্ফোরণ হয় কালিম্পংয়ে। দার্জিলিংয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় নাম জড়ায় বিমল গুরুং-সহ তিন মোর্চা নেতার। তার প্রতিবাদেই এদিন চকবাজারে মোর্চা সভা করছিল। সেখান থেকে মোর্চা নেতা গ্রেফতারে অশান্তির আগুন ছড়াল পাহাড়ে।
পুলিশের দাবি, বিস্ফোরণের ঘটনায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার যোগ রয়েছে, তার প্রমাণ রয়েছে তাদের হাতে। সেইমতোই তদন্ত এগচ্ছে। তল্লাশি-অভিযানও চালাচ্ছে পুলিশ।