দিঘা আর গোয়া হল না! বাংলার সৈকত-নগরীর হেলিকপ্টার পরিষেবা বন্ধের মুখে
পর্যটন শহর দিঘাকে গোয়া বানানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছ’বছরে দিঘা গোয়া না হলেও, দিঘার যে রূপ আমূল পরিবর্তন হয়েছে, তা অনস্বীকার্য।
পূর্ব মেদিনীপুর, ২ ফেব্রুয়ারি : পর্যটন শহর দিঘাকে গোয়া বানানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছ'বছরে দিঘা গোয়া না হলেও, দিঘার যে রূপ আমূল পরিবর্তন হয়েছে, তা অনস্বীকার্য। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে দিঘায় শুরু করা হয়েছিল হেলিকপ্টার পরিষেবা, তা এখন বন্ধের মুখে। অনিয়মিত হলেও চালু ছিল দিঘা-কলকাতা হেলিকপ্টার পরিষেবা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই পরিষেবা একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে।[তারামণ্ডল চালু হবে দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রে! আকর্ষণ বাড়াতে পরিকল্পনা রোপওয়েরও]
বাম আমলে দিঘা আর বর্তমান দিঘার মধ্যে পার্থক্য যথেষ্ট। মমতা জমানায় আমূল বদলে গিয়েছে দিঘা। ক্ষমতায় এসে প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়ে দিঘা থেকে বালিশাই এই ১৫ কিমি রাস্তার ধারে গাছ লাগিয়ে দিঘাকে যেমন সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছেন, তেমনি দিঘার প্রবেশদ্বার তৈরি করে পর্যটন শহরকে আকর্ষণীয় করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।[দীঘায় শীঘ্রই চালু হতে পারে টয় ট্রেন]
কিন্তু কলকাতা-দিঘা হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করে পর্যটন শহরের মুকুটে যে সোনালী পালক গুঁজে দিতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেটা অনেকটাই বিবর্ণ হয়ে খুলে পড়ছে পরিষেবাটি অনিয়মিত হয়ে যাওয়ায়। বছর খানেক আগে দিঘাকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র করে গড়ে তুলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।[শহরের ধুলোধোঁয়া থেকে চলুন শান্ত সবুজ পাউসি]
দিঘা-শংকরপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিপ্রদাস চক্রবর্তী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, দিঘার নতুন পালক হেলিকপ্টার পরিষেবা বন্ধ হওয়ার মুখে। এদিকে মাঝারি ব্যবসায়ী অজিত সাউ, রবীন্দ্রনাথ জানা, ফুটপাত ব্যবসায়ী হরেন মাইতি, রাকেশ কয়ালদের বক্তব্য কাপ্টারটি সারা সপ্তাহে একদিন চললেও তাকে দেখার জন্য বহু পর্যটক দিঘায় আসতেন। বর্তমানে এই পরিষেবা অনিয়মিত হয়ে যাওয়ায় পর্যটকরা উৎসাহ হারাচ্ছেন।