আগুনে রাজনীতি থেকে না সরলে পাটে উঠবে গোর্খ্যালান্ড আন্দোলন, গুরুংকে হুঁশিয়ারি হরকার
গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে প্রতিদিনই পাহাড়ে নিয়ম করে আগুন জ্বলছে। সরকারি অফিস থেকে পুলিশ ফাঁড়ি, থানা, ঐতিহ্যশালী ভবন কোনও কিছুই বাদ নেই। হিংসা না ছাড়লে মোর্চার সঙ্গ ত্যাগের হুঁশিয়ারি।
হিংসার পথ থেকে না সরলে গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলন থেকে হাত গুটিয়ে নেবেন জন আন্দোলন পার্টির নেতা হরকাবাহাদুর ছেত্রী। শনিবার মোর্চা নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, আগুন জ্বালানো রাজনীতিতে তাঁর সায় নেই। পাহাড়ের আন্দোলন হিংসা ছেড়ে গণতান্ত্রিক পথে হলে তিনি থাকবেন। তা না হলে গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে হাত গুটিয়ে নেবেন তিনি।
পুরসভা ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর থেকেই পাহাড় জ্বলতে শুরু করেছে। জঙ্গি আন্দোলন চালাচ্ছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। প্রায় দেড় মাসাবধি কাল পাহাড় অচল। লাটে উঠেছে পাহাড় পর্যটন। অনির্দিষ্টকালীন বনধ চলছে। সরকারি অফিস থেকে পরিবহণ পরিষেবা, স্কুল-কলেজ সমস্ত কিছু বন্ধ। এখন টান পড়েছে রসদেও। কিন্তু পাহাড়ে হিংসার পথ থেকে এক চুলও সরেনি মোর্চা।
গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে প্রতিদিনই পাহাড়ে নিয়ম করে আগুন জ্বলছে। সরকারি অফিস থেকে পুলিশ ফাঁড়ি, থানা, ঐতিহ্যশালী ভবন কোনও কিছুই বাদ নেই। এরই মধ্যে পাহাড়ে আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাহাড়ি দলগুলিকে নিয়ে আন্দোলন সমন্বয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এবার সেই কমিটিতেই চিড় ধরতে চলেছে। মোর্চার হিংসায় সায় নেই জন আন্দোলন পার্টির নেতা হরকা বাহাদুরের। সায় নেই জিএনএলএফেরও।
এদিন শিলিগুড়িতে জাপ নেতা হরকাবাহাদুর ছেত্রী বলেন, 'দেড়মাস ধরে পাহাড় জ্বলছে। সমস্ত কিছু অচল হয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও দার্জিলিংয়ের সাংসদ তাঁর ভূমিকা পালন করছেন না।' এদিন তিনি সাংসদের পদত্যাগ দাবি করেন। শুক্রবার থানায় গিয়ে সাংসদের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল জিএনএলএফ। রাস্তায় মিসিং পোস্টার লাগানো হয়েছিল। এদিন সাংসদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল জন আন্দোলন পার্টি। পাহাড় ইস্যুতে অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন জাপ নেতা।
এদিন ভোররাতে ফের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় পাহাড়ে। কালিম্পংয়ের জলঢাকার রঙ্গ পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গ্রামীণ গ্রন্থাগারেও। দুই ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির মোর্চার বিরুদ্ধে। মোর্চা যথারীতি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরই মধ্যে আগুনে রাজনীতি থেকে না সরলে গোর্খাল্যান্ড থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার কথা বলে গুরুংদের উপর চাপ সৃষ্টি করলেন জাপ নেতা হরকা বাহাদুর।