সোয়েটার খুলতে গিয়ে হাত আটকে গেল ড্রাইভারের, বাস নেমে গেল নয়ানজুলিতে
চলন্ত বাসে গায়ের সোয়েটার খুলতে গিয়ে হাত আটকে বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী বোঝাই সরকারি বাস উল্টে গেল নয়ানজুলিতে। চালকের ভুলের মাশুল দিতে হল যাত্রীদের।
হাওড়া, ৩১ জানুয়ারি : চলন্ত বাসে গায়ের সোয়েটার খুলতে গিয়ে হাত আটকে বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী বোঝাই সরকারি বাস উল্টে গেল নয়ানজুলিতে। চালকের ভুলের মাশুল দিতে হল যাত্রীদের। মঙ্গলবার অফিস টাইমে হাওড়ার পাঁচলায় আমতা-রানিহাটি রোডে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। জখম হলেন ৩২ জন যত্রী। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক ১২ জন যাত্রী।[বেপরোয়া অটোচালকদের দৌরাত্ম্য, এখন মন্ত্রীকেও নিয়ম শেখাচ্ছেন চালকরা!]
উদয়নারায়ণপুরের গড়ভবানিপুর থেকে বাসটি ধর্মতলা যাচ্ছিল। সেইসময় গাড়ির চালক বাস না থামিয়েই নিজের গায়ের সোয়েটার খুলতে যান। সেইসময় হাত আটকে যায় সোয়েটারে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় পাশের একটি নয়ানজুলিতে। নয়ানজুলিতে বেশি জল না থাকায় বড়সড় বিপত্তি ঘটেনি। তবে গাড়িটি দু'বার পাল্টি খাওয়ায় অনেকেরই আঘাত গুরুতর।[বেপরোয়া অটোর ধাক্কা চলন্ত বাসে, গৌরীবাড়িতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু কলেজ ছাত্রীর]
বাসটিতে ৪০জনেরও বেশি যাত্রী ছিলেন। ৩২ জন যাত্রী গুরুতর জখম হন। তাঁদের মধ্যে আবার আশঙ্কাজনক ১২ জন। আহতদের প্রথমে গাববেরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর তাঁদের রেফার করা হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক কয়েকজনকে কলকাতা মোডিকেল কলেজ বহাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁরাই বাসটি থেকে আহতদের বের করে হাসপাতালে পাঠান। ইতিমধ্যে পাঁটলা থানার পুলিশ পৌঁচে যান ঘটনাস্থলে। ক্রেনের সাহায্যে বাসটিতে নয়ানজুলি থেকে তোলা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছিড় বাসের নিচে কেউ আটকে থাকতে পারে। বাসটি উদ্ধারের পর অবশ্য কোনও মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয়নি আর।