কঠোর প্রশাসন, তাজপুরে ভাঙা পড়ল তিনটি বেআইনি হোটেল
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জনপ্রিয় পর্যটনস্থল হল তাজপুর। দীঘা যেমন ভিড়ে ঠাসাঠাসি, তাজপুর তেমন নয়। সোনালি বালুকাবেলা, ঝাউবনের সারি আর নিরিবিলি পরিবেশ হল তাজপুরের অমোঘ আকর্ষণ। গত কয়েক বছরে তাই পর্যটকদের কাছে কদর বেড়েছে তাজপুরের। সেই সুযোগে এখানে গজিয়ে ওঠে কয়েকটি হোটেল। অভিযোগ, কিছু হোটেল আইন না মেনে গজিয়ে ওঠে। এর মধ্যে চারটি হোটেলকে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করে প্রশাসন। এগুলি হল পাম রিসর্ট ভিলেজ, নেচার ভিউ, সানরাইজ এবং লা-বেলা। আইন অনুযায়ী, তাজপুরের সৈকতভূমিতে কোনও নির্মাণকার্য় চালানো যায় না। তাই বেআইনি হোটেল চিহ্নিত করে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় প্রশাসন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই চারটি হোটেলকে জানানো হয়, ১৫ জুনের আগে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে। এই নির্দেশ পেয়ে নেচারভিউ, সানরাইজ এবং লা-বেলা হোটেলের মালিকরা বিডিও-কে চিঠি লিখে জানান, তাঁরা নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে তা ভেঙে ফেলবেন। বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল ভাঙার কাজ। শেষ হয় বিকেলে। বিডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী ছাড়াও উপস্থিত হয়েছিলেন অন্যান্য সরকারি কর্তারা। রামনগর থানা থেকে এসেছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। তিনটি হোটেলের মালিকরা পরে বলেন, তাজপুরের সৈকতভূমিতে নির্মাণকাজ চালানো যে বেআইনি. তা তাঁরা জানতেন না। এ জন্য দুঃখিত। কিন্তু পাম রিসর্ট ভিলেজ হোটেলের মালিক প্রণবেশ সরকার প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছেন। আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় গতকাল তাঁর হোটেলটি ভাঙা যায়নি।
তাজপুর হোটেলিয়ার্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামল দাশ বলেছেন, "চারটে হোটেলকে প্রশাসন চিহ্নিত করেছে। ভালো কথা। কিন্তু এখনও তাজপুরের সৈকতে একের পর এক বেআইনি হোটেল গজিয়ে উঠছে। এদের নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন আশ্চর্যজনকভাবে চুপচাপ রয়েছে। এই পক্ষপাতিত্ব কেন, সেটাই জানতে চাইছি।"