তপশিলি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কি বিদ্রোহের জুজু দেখছে মমতার সরকার, সরকারি হস্টেলে মুচলেকা নিয়ে বিতর্ক
ছাত্রছাত্রীদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। তফশিলি জাতি, উপজাতি ছাত্রছাত্রীদের কলকাতার সরকারি হস্টেলে থাকতে গেলে সরকার বিরোধী কোনও আন্দোলনে অংশ নিতে পারবেন না
ফের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার অভিযোগ উঠল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। পড়াশোনায় বাধা সৃষ্টির অজুহাতে কলেজ স্ট্রিটে কাজের দিনে সভা সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য় সরকার। এবার তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্রছাত্রীদের কলকাতার সরকারি হস্টেলে প্রবেশের আগে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল।
হস্টেলে থাকাকালীন সরকারের বিরুদ্ধে কোনও আন্দোলনে তাঁরা অংশ নেবেন না, সরকারি হস্টেলে থাকতে গেলে এমনই মুচলেকায় স্বাক্ষর করানোর অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি হস্টেলে থাকলে গেলে ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে মুচলেকায় স্বাক্ষর করানোর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে মানবাধিকার সংস্থা এপিডিআর। সংবিধানের সরকারি এই নির্দেশিকা, ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে থাকা মত প্রকাশের অধিকার, সংগঠিত করার অধিকারের পরিপন্থী। এমনটাই মানবাধিকার কর্মী তথা এপিডিআর-এর সহ সভাপতি রঞ্জিত শূরের।
সরকারি এই নির্দেশিকা আত্মমর্যাদার পক্ষে ক্ষতিকারক বলেও মত প্রকাশ করেছেন শিক্ষাবিদরা। এছাড়াও এই নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করার অর্থ হস্টেলের অব্যবস্থা কিংবা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে পারবে না সেখানে সুযোগ পাওয়া ছাত্রছাত্রীরা।
মানুষকে ভয় পাওয়ায় সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব বেরিয়ে পড়ছে বলে, ওয়ান ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। বিষয়টি তফশিলি জাতি, উপজাতি ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে অপমান জনক বলে ওয়ান ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। পাহাড়ে আগুন নিয়ে খেলার পর মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও আগুন নিয়ে খেলছেন বলে অভিযোগ তাঁর। অবিলম্বে এই নির্দেশিকা তুলে নেওয়ার দাবি করেছেন তিনি।