পাহাড়ের আগুন ছড়াল সমতলেও, খুকরি-মিছিল করে কেন্দ্র-রাজ্যকে কী বার্তা মোর্চার
রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশলেই এই মিছিল। সর্বদলীয় বৈঠকেই মোর্চা ঘোষণা করেছিল, তারা সমতলে আন্দোলন জোরদার করবে। সেই আঙ্গিকেই পাহাড়ে অস্ত্র নিয়ে মিছিল বের হয় মোর্চার।
পাহাড়ে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হল রবিবার। ফের হিংসা ও আগুনের রাজনীতিতে ফিরল মোর্চা। ফরেস্ট ট্রেনিং সেন্টারে আগুন ধরিয়ে দেয় মোর্চার সমর্থকরা। এদিন পাহাড়ের আগুন নেমে আসে সমতলেও। শিলিগুড়িতে খুকরি নিয়ে মিছিল করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থকরা। অস্ত্র নিয়ে মিছিলে বাধা দিতেই ধস্তাধস্তি বাধে পুলিশের সঙ্গে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন মোর্চা নেতারা। জিএনএমএফও আলাদা করে মিছিল করে পাহাড়ে।
এদিন শিলিগুড়ির শালুগাড়া বাজারে মোর্চার মিছিলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। মোর্চার অভিযোগ, রাজ্য প্রশাসনের বাধায় সমতল থেকে পাহাড়ে পৌঁছতে পারছে না খাবার-সামগ্রী। রেশন ব্যবস্থায় বাধা দিচ্ছে প্রশাসনই। এদিন মিছিলে রাজ্য প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে কেন্দ্রকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। সেই দাবিতেই পাহাড় থেকে সমতলে মিছিল করে মোর্চা নেতারা।
সর্বদলীয় বৈঠকেই মোর্চা ঘোষণা করেছিল, তারা সমতলে আন্দোলন জোরদার করবে। সেই আঙ্গিকেই পাহাড়ে অস্ত্র নিয়ে মিছিল বের হয় মোর্চার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় এদিন। শিলিগুড়িতে প্রবেশ পথের প্রতিটি চেকপোস্টে নজরদারি বাড়ানো হয়।
মোর্চা সমর্থকদের শহরে ঢুকতেই বাধা দেয় পুলিশ। আর বাধা পেয়ে তাণ্ডব শুরু করে মোর্চা কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। অন্যান্য দিনে মোর্চা কর্মী-সমর্থকরাই মিছিলে নেতৃত্ব দেন। এদিন মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।
এদিন মোর্চার তরফে দাবি জানানো হয়, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারকে বৈঠকের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্য সরকারের এই বিদ্বেষমূলক মনোভাব কিছুতেই তাঁরা আর মানবেন না। এবার তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নেবেন বলে জানান। গোর্খা সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষকে নিয়ে পথে নামবে মোর্চা। অশান্তি হলে সমস্ত দায় প্রশাসনেরই।