‘দার্জিলিং চলো’র হুঁশিয়ারি মোর্চার, বৈঠকের তৎপরতার মধ্যেও অনিশ্চিৎ পাহাড়ের ভাগ্য
মানব-বন্ধনের নামে পাহাড়ে আরও জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলাই মোর্চার লক্ষ্য। আর সর্বদলীয় বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তগুলিকেই সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।
পাহাড়ে বনধ প্রত্যাহার নয় এখনই। একই জায়গায় পড়ে রইল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। পুলিশের অভিযান বন্ধ না হলে বনধ প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে রাজি নন গুরুংরা। শনিবার গোর্খাল্যান্ড মুভমেন্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল সেই কথা। উল্টে পুলিশ অভিযান বন্ধ না হলে পাহাড়ে দার্জিলিং চলো কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানায় গোর্খা্ জনমুক্তি মোর্চা।
স্বাধীনতা দিবসের দিন অর্থাৎ ১৫ আগস্ট মানব-বন্ধন কর্মসূচি নিয়েছে মোর্চা ও তার সহযোগী দলগুলি। সমস্ত প্রান্ত থেকে মিছিল করে এসে পাহাড়ে মানববন্ধন করবে তারা। আসলে মানব-বন্ধনের নামে পাহাড়ে আরও জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলাই মোর্চার লক্ষ্য। আর সর্বদলীয় বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তগুলিকেই সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বনধ প্রত্যাহার করে পাহাড়ে শান্তির বার্তা দেবে মোর্চা ও তার সহযোগী দলগুলি- এমন সিদ্ধান্ত এবার সর্বদলীয় বৈঠক থেকে নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু পাহাড় পরিস্থিতির আদতে কোনও পরিবর্তন হল না। সেই অনির্দিষ্টকালীন বনধেই আটকে থাকল পাহাড়।
তবে রবিবার নয়াদিল্লিতে পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবে মোর্চা। বৈঠকে মোর্চার তরফে উপস্থিতি থাকবেন রোশন গিরি। এই বৈঠক থেকে ইতিবাচক কোনও বিষয় যদি উঠে আসে, তবে মোর্চার অনির্দিষ্টকালীন বনধ জারি রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হতে পারে।
এদিকে দার্জিলিংয়ে সংবাদপত্রবহনকারী গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তিন মোর্চা কর্মীকে। তাদেরকে জেরা করেই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতার করতে চাইছে পুলিশ।