তৃণমূলের সঙ্গ ছাড়তে চাইছে জিএনএলএফ! মমতার দলের উপর কেন খেপল ঘিসিং-এর দল
তৃণমূলের জয়ের পিছনে জিএনএলএফের বড় হাত থাকলেও, জেতার পর তা মানতে চাইছে না তৃণমূল। ফলে দুই জোট সঙ্গীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
শুরুতেই পাহাড়ে ধাক্কা তৃণমূল কংগ্রেস ও জিএনএলএফ জোটে। সাম্প্রতিক পুরসভা ভোটে একে অপরের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ ক্রমশই দৃঢ় হচ্ছে। যার জেরে ঠিকমতো জোট-যাত্রা শুরুর আগেই আলাদা হয়ে যেতে পারে চলার পথ। তা হলে জিটিএ নির্বাচনের আগে আবার একটা ধাক্কা খাবে তৃণমূল কংগ্রেস। পাহাড়ে পুরভোটে অংশ নিয়ে চমকপ্রদ সাফল্য পেলেও জিএনএলএফের সঙ্গে ঐক্য ভেঙে যাওয়াটা তৃণমূলের কাছে হবে বড় আঘাত।
পাহাড়জুড়ে জল্পনা, তাহলে কি জিটিএ নির্বাচনের আগেই ভেঙে যেতে পারে জোট? পুরসভা ভোটের পর থেকেই জিএনএলএফের সঙ্গে তিক্ততা বেড়েই চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। জিএনএলএফ সরাসরি তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছে, তৃণমূলের জন্যই ভোটে হেরেছে তারা। তাদের প্রার্থীদের খারাপ ফলের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী তৃণমূল।
জিএনএলএফ নেতৃত্ব ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানিয়েছে, তাঁদের হয়ে কোনও প্রচারই করেননি তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। অথচ জিএনএলএফ নেতৃত্ব তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচার চালিয়েছে পুরোদমে। তৃণমূলের জয়ের পিছনে জিএনএলএফের বড় হাত থাকলেও, জেতার পর তা মানতে চাইছে না তৃণমূল। ফলে দুই জোট সঙ্গীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা গৌতম দেবের বক্তব্য, একসঙ্গে লড়াই করেছে তৃণমূল ও জিএনএলএফ। অহেতুক ভুল বোঝাবুঝির তৈরি করা হচ্ছে। তাঁরা আগ্রহী জিএনএলএফের সঙ্গে জোট এগিয়ে নিয়ে যেতে। তাঁদের পক্ষ থেকে জিএনএ্রএফের সঙ্গে একসঙ্গে চলতে কোনও অসুবিধা নেই। জিএনএলএফই সমস্যা তৈরি করছে একসঙ্গে চলার পথে।
উল্লেখ্য, এবার প্রথমবার পাহাড়ে নির্বাচন লড়েই মিরিক পুরসভা দখল করেছে তৃণমূল। মোর্চা হারিয়ে মিরিকের দখল নেওয়ার পাশাপাশি দার্জিলিং থেকে শুরু করে কার্শিয়াং ও কালিম্পংয়েও প্রতিনিধি পঠিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু জিএনএ্রলএফ কোনও আসনই পায়নি।
হরকা বাহাদুর ছেত্রীর জন আন্দোলন পর্টি কালিম্পংয়ে দুটি আসন দখল করলেও, জিএনএলএফের ঝুলি শূন্যই থেকেছে। তাতেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে জোটসঙ্গীদের। ভোটের আগে হরকা বাহাদুরও জিটিএ-র পদ ছেড়ে তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছেন।