কালিম্পং জেলা হতেই মোর্চা ভেঙে দলে দলে যোগদান তৃণমূলে, প্রমাণিত নতুন জেলায় রাজনৈতিক স্বার্থ
কালিম্পং জেলা হতেই মোর্চা ভেঙে দলে দলে যোগদান তৃণমূলে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মাঝেই সহস্রাধিক মোর্চা নেতা-কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে।
কালিম্পং, ১৫ ফেব্রুয়ারি : কালিম্পং জেলা হতেই মোর্চা ভেঙে দলে দলে যোগদান তৃণমূলে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মাঝেই সহস্রাধিক মোর্চা নেতা-কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন কালিম্পংয়ের দলত্যাগী মোর্চা সদস্যরা। মোর্চার গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে আইনজীবী সংগঠন ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও দলে দলে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।
গতকালই শিলিগুড়ির মেয়র তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য প্রশ্ন তুলেছিলেন, কালিম্পংকে নতুন জেলা হিসেবে মর্যাদাদান আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার একটি সোপান মাত্র। প্রশাসনিক কাজকর্মের সুবিধা বা উন্নয়নের স্বার্থে এই জেলা বিভাজন বা নতুন জেলা হিসেবে যাত্রা শুরুর করার পরিকল্পনা নয় এটা। মূল লক্ষ্য পাহাড়ে জমি শক্তি করার। তৃণমূলের সংগঠনকে আরও মজবুত করা।
কালিম্পং জেলা হিসেবে পূর্ণ মর্যাদা পাওয়ার এক দিন না কাটতে কাটতেই সেই রাজনৈতিক জমি শক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। আরও স্পষ্ট করে বললে, রাজনৈতিক জমি যে শক্ত হচ্ছে পাহাড়ে, তার হাতেনাতে ফল পেল তৃণমূল। কালিম্পংয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে দলে দলে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক পড়ে গেল।
পাহাড় ভেঙে দু'ভাগ হল কালিম্পং জেলা হওয়ায়। দার্জিলিং থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল কালিম্পং। সেইসঙ্গে ভাগ হয়ে গেল কর্তৃত্বেও। আগে জিটিএ-র হাতেই ক্ষমতা ছিল দার্জিলিং শাসনের। অর্থাৎ দার্জিলিং ও কালিম্পয়ের ক্ষমতায় ছিল জিটিএ। এবার কৌশলে তাদের ক্ষমতা খর্ব করে দেওয়া হল। বুঝিয়ে দেওয়া হল দার্জিলিং নিয়ে ভাবুক মোর্চা, কালিম্পংয়ে এবার ছড়ি ঘোরাবে তৃণমূলই। বুধবার দলে দলে যোগদানে সেই অভীষ্টই সিদ্ধ হল।