ভিটে-মাটির মায়ায় হেলে পড়া বাড়ির ছাদেই আশ্রয়, সেনা-কপ্টার ফিরিয়ে দিচ্ছেন দুর্গতরা
এনডিআরএফ নৌকা নিয়ে গিয়েও ফিরে এসেছিল। এবার সেনা কপ্টারেও উঠতে চাইলেন না দুর্গতরা। যায় যাক প্রাণ, তবু ভিটেমাটি ছাড়বেন না বানভাসিরা।
চোখের সামনেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে বাড়িগুলি। তবু ভিটেমাটি ছাড়বেন না কেউই। প্রাণ হাতে নিয়েই তাঁরা পড়ে থাকবেন ভিটেতেই। উদ্ধারের জন্য বন্যাদুর্গত এলাকায় এনডিআরএফের নৌকা ও সেনা-কপ্টার পৌঁছেও উদ্ধারকার্যে ব্যর্থ হচ্ছেন। বারবার ব্যাঘাত ঘটছে উদ্ধার প্রক্রিয়ায়।
[আরও পড়ুন:একতলা বাড়ি আর জেগে নেই! '৭৮ সালের থেকেও বড় বন্যায় জলমগ্ন এই ব্লকের ১০৪ গ্রাম]
একতলা জলমগ্ন। পাকা বাড়িও হেলে পড়েছে। পাশের বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন দুর্গতরা। তবু নাচার দুর্গতরা। ঘাটালের প্রতাপপুরে এই ছবিই ফুটে উঠল শনিবারও। এনডিআরএফ নৌকা নিয়ে গিয়েও ফিরে এসেছিল। এবার সেনা কপ্টারেও উঠতে চাইলেন না দুর্গতরা। যায় যাক প্রাণ, তবু ভিটেমাটি ছাড়বেন না বানভাসিরা।
শুক্রবার এনডিআরএই কর্মীরা নৌকা নিয়ে গিয়ে ৩৫ জনকে উদ্ধার করে। বাকিরা অনেকেই আসতে চাননি। আর একেবারে ভাঙনের মুখে যে সমস্ত পরিবার আটকে পড়েছে, সেই জায়গায় পৌঁছতে পারেনি কোনও নৌকা। তাই জেলা প্রশাসন নবান্নের সঙ্গে যোগাযোগ করে বারাকপুর থেকে বায়ুসেনা কপ্টার নিয়ে আসে। কিন্তু কপ্টার নিয়ে গিয়েও বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এলাকায় গাছপালা থাকায় সমস্যায় পড়েন পাইলট।
শনিবার সকাল থেকে ঘাটালের বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার করতে ফের হেলিকপ্টার নামানোর চেষ্টা করা হয়। এলাকার একটি পাকা বাড়িও জলের তোড়ে হেলে পড়েছে। সেই বাড়ি থেকে পাশের বাড়িতে চলে যায় বাসিন্দারা। সকলেই আশ্রয় নিয়েছেন পাশের বাড়ির ছাদে। এই অবস্থায় তাঁদের সবার আগে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ ও জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা ঝুঁকি নিয়ে দুর্গত পরিবারগুলির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা উপস্থিত থেকে আটকে পড়া বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে তদারকি করছেন। কপ্টারে করে ত্রাণ বিলি করা হয়। অসুস্থ এক শিশুকেও উদ্ধার করা হয়। ছাদ থেকে নামিয়ে নৌকায় করে হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়।