(ছবি) বন্যায় প্রায় পঙ্গু বাংলা, নবান্ন থেকে রাতভর নজরদারি চালালেন মমতা!
কলকাতা, ৩ আগস্ট : সাইক্লোন 'কোমেন'-এর আক্রমণে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতার জেরে প্রায় পঙ্গু পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং মণিপুর। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। যার মধ্যে ৪৮ জনই পশ্চিমবঙ্গ থেকে। আর তারই জেরে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার সারাটা রাত নবান্ন থেকে বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে কাটালেন। [ 'বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক ছিল না প্রশাসন' : ঘাটালে 'দেব বাণী']
ব্যাপক বৃষ্টির জেরে শুরু যে কলকাতা বানভাসী হয়েছে তা নয়, রাজ্যে ১২ টি জেলা বড় অংশ জলের তলায়। এর মধ্যে ৫ টি জেলাকে 'হাই অ্যালার্ট'-এ রাখা হয়েছে। জেলাপ্রশাসনের তরফে এই জেলার বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, আগামী ২-৩ দিনের জন্য বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ কোনও স্থানে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য।[ ম্যারাথন বৃষ্টি : 'মা গঙ্গা'র দিকে তাঁকিয়ে অসহায় মহানাগরিক]
রাজ্যের ১২ টি জেলার বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। প্রায় ২১ লক্ষ হেক্টক চাষযোগ্য জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। আজও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় আশঙ্কা। এর ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার সম্ভাবনা।
আজ, সোমবার সম্ভবত উত্তর ২৪ পরগনা পরিদর্শনে যেতে পারেন।ঝাড়খণ্ড জল ছাড়তে শুরু করেছে, এবং দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি জল ছা়ড়ছে এই দাবি তুলে ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, "ডিভিসি বাংলায় ব্যবসা করছে। আমরা ওদের ভালবাসি কিন্তু এতো দেখছি ওরা বাংলাকে ডুবিয়ে দিতে পারে।"
অন্যদিকে মণিপুরের যা পরিস্থিতি স্থানীয় মানুষদের কথায় এমন ভয়াবহ পরিস্থিত গত ২০০ বছরে এই প্রথম। এই বন্যায় প্রায় ১ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও মণিপুরের অবস্থা ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। আবহাওয়া সংক্রান্ত সতর্কতা পাওয়ার পর থেকেই নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন।
অন্যদিকে ওড়িশায় প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। যদিও ওড়িশাতেও বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
{photo-feature}