পড়া পারেনি, বিনিময়ে পাঁচ বছরের ছাত্রীকে যে শাস্তি দিলেন গৃহশিক্ষক
পড়া না পারার শাস্তি! এক শিশুকে বেধড়ক পেটালেন শিক্ষক। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বড়তোড়িয়ায়।
পড়া না পারার শাস্তি! এক শিশু ছাত্রীকে বেধড়ক পেটালেন শিক্ষক। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বড়তোড়িয়ায়।
অভিযুক্ত সন্তোষ মিশ্র একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। তাঁর কাছেই টিউশনে যেত পাঁচ বছরের শিশু ছাত্রীটি। বৃহস্পতিবার পড়তে গিয়েছিল শিশুটি। তাকে লিখতে দিয়েছিলেন শিক্ষক। কিন্তু শিশুটি পড়া না জানায় তা লিখতে পারেনি। তারপরই শিশুটিকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক প্রহার করা হয় বলে অভিযোগ। তার সারা শরীরে কালসিটে দাগ হয়ে গিয়েছে।
এরপর বাড়িতে ফিরে প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রীটি। তখনই জিজ্ঞাসা করলে সে অভিভাবকদের জানায় তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মেরেছেন মাস্টারমশাই। লিখতে পারেনি বলেই তাকে মারধর করে। এরপর ছাত্রীটির প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছে ছুটে যান শিশুটির বাবা। তাঁর কাছে জানতে চান ওইভাবে কেন তাঁর মেয়েকে মারধর করা হয়েছে। এই চরম অমানবিক কাজ একজন শিক্ষক হয়ে তিনি করলেন কী করে। এরপর ছাত্রীটির বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন শিক্ষক।
শিক্ষকের কাছ খেকে ফিরে সটান আসানসোল দক্ষিণ থানায় যান তিনি। অভিযুক্ত শিক্ষক সন্তোষ মিশ্রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।