বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হাওড়ার কদমতলা বাজার
হাওড়া, ১ অক্টোবর : বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেল হাওড়ার কদমতলা বাজার। শনিবার ভোররাতে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে যায় কদমতলা বাজারের প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি দোকান।
দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ঘণ্টা পাঁচেকের চেষ্টায়। তখন পুরো বাজারটিই প্রায় ভস্মীভূত। প্রবেশ পথ সঙ্কীর্ণ হওয়ায় দমকলের কাজ করতে সমস্যা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে পুরসভার মেয়র রথীন চক্রবর্তী।
দমকলের প্রাথমিক অনুমান, সর্ট সার্কিট থেকেই সম্ভবত আগুন লেগেছে। বাজারের প্রবেশপথ যেমন সরু ছিল, তেমনই তাতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। ফলে আগুন লাগার পরই তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে গোটা বাজারটিকে ভস্মীভূত করে দিয়েছে।
ভোর ৪-২০ নাগাদ কদমতলা বাজারে আগুন লাগে। প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় ক্ষণিকেই আগুনের লেলিহান গ্রাসে চলে যায় পুরো কদমতলা বাজার। সারিবদ্ধ প্রচুর দোকান। একটার পর একটা দোকানে ছড়িয়ে পড়তে থাকে আগুন। প্রথমে ব্যবসায়ীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু আগুনের দহন ক্ষমতা এতটাই তীব্র ছিল যে নিমেষেই ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাজারে। ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের ১৫ ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।
দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, হাওড়ার সুপ্রাচীন এই বাজারে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। পুরোপুরি নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি দোকানগুলি। ফলে একপ্রকার জতুগৃহের রূপ নিয়েছিল পুরো বাজার। ঠিক এখানেই প্রশ্ন উঠেছে হাওড়া পুরসভার ভূমিকা নিয়ে। এতদিন গড়িয়ে গেলেও পরিকাঠামো সঠিকভাবে গড়ে তোলা হয়নি কেন? কেন গড়ে তোলা হয়নি অগ্নিনর্বাপণ ব্যবস্থা?
হাওড়া পুরসভার মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, পরিকাঠামোগত ত্রুটি ছিল ঠিকই। কিন্তু এই বাজারে সংস্কারমূলক কাজ করা হয়েছে। বাজারের আধুনিকীকরণ নিয়ে আমাদের পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়নের কাজ এখনও কিছু জটিলতায় শুরু করা যায়নি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকছি। পুরসভা ও সরকার এই বিশাল ক্ষতি পূরণ করে ফের স্বাভাবিক ছন্দ ফিরিয়ে দেবে বাজারের।