ভিনরাজ্য থেকে আসা রোগীই ফাঁস করে দিল কোচবিহারে ভুয়ো ডাক্তারের কীর্তি
হাড়ের চিকিৎসা করাতে অসম থেকে কোচবিহারে এসেছিলেন রোগিনী। পড়লেন এক ভুয়ো অস্থিবিশেষজ্ঞের পাল্লায়। তারপরই পর্দা ফাঁস। কিন্তু কীভাবে?
ভিনরাজ্য থেকে আসা রোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পর্দা ফাঁস হয়ে গেল এক ভুয়ো চিকিৎসকের। এবার ভুয়ো চিকিৎসক ধরা পড়ল কোচবিহারে। রবিবার রাতে ওই রোগী অভিযোগের ভিত্তিতে কোচবিহার থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ভুয়ো চিকিৎসক সুব্রত সরকারকে। চিকিৎসক হিসেবে কোনও রেজিস্ট্রেশন দেখাতে পারেননি তিনি। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন সুব্রতবাবু মাধ্যমিক পাস করেই চিকিৎসক হিসেবে পসার জমিয়েছেন। ডাক্তারির কোনও বৈধ সার্টিফিকেট নেই তাঁর।
অসমের ধুবড়ি জেলা থেকে সোমা দাস নামে এক রোগিনী কোচবিহারে এসেছিলেন হাড়ে ব্যথ্যার চিকিৎসা করাতে। সেইমতো তিনি অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ সুব্রত সরকারের চেম্বারে যান। রূপনারায়ণ রোডে ওষুধের দোকানের পাশে তাঁর চেম্বার। কিন্তু চেম্বার দেখেই সন্দেহ হয় সোমাদেবীর। কোনও সাইনবোর্ড নেই, তবে চিকিৎসকের পাডে লেখা ডিগ্রি দেখে তিনি চিকিৎসা করাতে রাজি হন।
এরপর পরীক্ষার জন্য যে প্যাথোলজিতে রেফার করা হয় তাঁকে, তা দেখেও সন্দেহ হয় সোমাদেবীর। সেখানেও কোনও সাইনবোর্ড ছিল না। এরপর সটান কোচবিহার থানায় গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ মতো তদন্তে নামে পুলিশ। রাতেই অভিযান চালানো হয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় ভুয়ো চিকিৎসক সুব্রত সরকারকে। ওষুধের দোকানের মালিক ও প্যাথোলজির এক কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই প্যাথোলজি ও ওষুধের দোকান।