বাইরে মুদি দোকান, ভিতরে মদের কারখানা, তদন্ত নেমে চক্ষু চরকগাছ আবগারিকর্মীদের
মুদি দোকানের আড়ালে বিদেশি মদ তৈরির কারখানা! অভিযানে নেমে ১৩০ বোতল বিদেশি মদ বাজেয়াপ্ত করল আবগারি দফতর। বাজেয়াপ্ত করা হল নকল সরকারি হলগ্রামও।
বাঁকুড়া, ৬ জানুয়ারি : মুদি দোকানের আড়ালে বিদেশি মদ তৈরির কারখানা! শুক্রবার অভিযানে নেমে ১৩০ বোতল বিদেশি মদ বাজেয়াপ্ত করল আবগারি দফতর। বাজেয়াপ্ত করা হল নকল সরকারি হলগ্রামও। গ্রেফতার করা হল চারজনকে। এদিনই ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। তাদের পুলিশ হেফজাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বর্ধমানের গলসি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালিতে সম্প্রতি বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাকপর থেকেই রাজ্যজুড়ে অভিযান শুরু করেছে আবগারি দফতর। এদিন বাঁকুড়ার ভৈরবপুরে তল্লাশিতে নেমে নকল মদ তৈরির সাজ-সরঞ্জাম দেখে চক্ষু চড়ক গাছ আবগারি দফতরের।
এক মদ সরবরাহকারী যুবককে জালে পুরেই এই বেআইনি মদ তৈরির কারখানার হদিশ পায় আবগারি দফতরের কর্মীরা। সেইমতো অভিযান চালায় বাঁকুড়ার গ্রামে। রাহুল সিং নামে এর ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয়। তল্লাশি চালিয়ে মুদির দোকানের আড়ালে মদের রমরমা ব্যবসার সন্ধান পান আবগারি অফিসাররা।
এই মুদি দোকানের আড়ালেই দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা চালিয়ে আসা হচ্ছে। আবগারি দফতরের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এখানেই মদ তৈরি হত। বাইরে মুদি দোকান, ভিতরে মদের কারখানা। মদ তৈরির পর পুরনো বোতলে তা ঢেলে সিল করে দেওয়া হত।
লাগানো হত হলগ্রাম, তারপরই ধাবা বা দোকানে সরবরাহ করা হত। চারজন কর্মীকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন আবগারি অফিসাররা। ১৩০ বোতল মদ ও ছ'হাজার হলগ্রাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।