কলকাতায় প্রত্যেক ৬ জনের মধ্যে ১ জন মহিলা স্বামীর হাতে নির্যাতিত হন!
কলকাতা, ১৬ অক্টোবর : যাদবপুরের প্রাক্তনী ২৪ বছরের মিতা মণ্ডলের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে অনেক। টেলিভিশনের চ্যানেলে, সংবাদপত্রের পাতায় আলোচনাও ভুরি ভুরি। পণের জন্য স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করেছে স্বামী। তাতে এত বিস্ময় কেন? এই ঘটনা তো নতুন কিছু নয়! [যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু উলুবেড়িয়ায় শ্বশুরবাড়িতে, গ্রেফতার স্বামী]
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য বলছে, কলকাতায়, প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জন মহিলাই স্বামীর হাতে নির্যাতিত, অত্যাচারিত হন। ২০১৫ সালে ৮৭৬টি বৈবাহিক নির্যাতনের মামলা রুজু করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনের পরিণতিই মৃত্যুতে। রাজ্যে এই সংখ্যাটা ২০০০ সালে ৪,০২৫ থেকে বেড়ে ২০১৫ সালে ২০,১৬৩-তে পৌঁছেছে। [(ছবি) আজকের যুগেও এই ৮ কারণে বিয়ের পর অত্যাচারিত হয় নারী!]
৪৮ ঘন্টা আগেই পার্ক সার্কাসের বাসিন্দা নাদিরা বেগমকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার অন্যদিকে বারুইপুরে ২৮ বছরের নমিতা দাসকে বিষ দিয়ে খুন করে তাঁর শশুরবাড়ির লোকজন। [খাস কলকাতায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ, গ্রেফতার স্বামী]
কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে স্ত্রী বা পুত্রবধূদের উপর স্বামী ও তার পরিবারের অত্যাচারের ঘটনা ১২.২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পয়েছে। এই তথ্যের দিক থেকে নয়াদিল্লি ও হায়দ্রাবাদের পরে তৃতীয় স্থানেই রয়েছে কলকাতা। [(ছবি) সম্পর্কের মধ্যে এই ১০টি জিনিস কখনও মুখ বুজে সহ্য করবেন না!]
তবে এই সূত্রে পুলিশের বক্তব্য, অভিজাত বিত্তশালী পরিবার বা একেবারে দুঃস্থ হতদরিদ্র পরিবারের তুলনায় নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিতেই এই ধরের ঘটনার সংখ্যা বেশি ঘটে।