ডোমকল: ভোটে জিতেই বামপ্রার্থী দল বদলে চলে গেলেন তৃণমূল শিবিরে
প্রদীপের সলতের মতো একজন বামপ্রার্থী টিমটিম করে জ্বলছিলেন ডোমকলে, তিনিও দলবদলে চললেন তৃণমূল কংগ্রেসে। জয়ী ঘোষণার পরই তৃণমূলে নাম লেখালেন জোটপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম।
ডোমকল পুরসভার ভোটে জিতেই বাম শিবির থেকে তৃণমূলে চলে গেলেন এক বামফ্রন্ট প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। সাত পুরসভার ভোটে তো একপ্রকার ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বামফ্রন্ট। যদিওবা প্রদীপের সলতের মতো একজন টিমটিম করে জ্বলছিল ডোমকলে, তিনিও দলবদলে চলে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ভোটযুদ্ধে এই কংগ্রেস-বাম জোটপ্রার্থীকে জয়ী ঘোষণার পরই তিনি নাম লেখালেন তৃণমূলে। বেনজির ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল ডোমকল।
রাজ্যে তৃণমূলের শাসনে গণতন্ত্র বজায় থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বার বার। সেই প্রসঙ্গকে আরও একবার উসকে দিলেন ডোমকল পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের জোট প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। ২১ ওয়ার্ডের ডোমকল পুরসভায় এটিই ছিল প্রথম পুরভোট। অধীরের দুর্গ মুর্শিদাবাদের ডোমকল। স্বভাবতই তৃণমূল সেখানে কতখানি দাঁত ফোটাতে পারে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল।
তৃণমূলী থাবার পর নিজের দুর্গে আবার অধীর চৌধুরি বাঘ হয়ে ফিরতে পারেন কি না, তা জানার আগ্রহও ছিল রাজ্যবাসীর। কিন্তু ভোটের ফলাফল বের হতেই দেখা গেল তৃণমূলী ঝড়। ডোমকলের ১৮টি ওয়ার্ডেই জয়ী তৃণমূল। বামেদের সঙ্গে জোট গড়েও কোনও প্রতিরোধ গড়তে পারেনি কংগ্রেস। মাত্র দু'টি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। আর বামপ্রার্থী হিসেবে জয়ী হন রফিকুল ইসলাম। তিনি আবার জিতেই ঘাসফুলের উত্তরীয় গলায় পরে নিলেন।
ডোমকল পুরভোটের লড়াই অধীর চৌধুরীর কাছে ছিল সম্মানের লড়াই। এই লড়াইয়ে তিনি বামেদের সঙ্গে নিয়েই তৃণমূলকে টেক্কা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিজেরাই ধাক্কা খেয়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলেন। ডোমকলে বিশাল জয় পেল তৃণমূল। কার্যত কংগ্রেসের অস্তিত্বই সংকটে পড়ে গেল এই পুরসভায়। মাত্র দু'জন কাউন্সিলর নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হবে। সেইসঙ্গে দেখার দুই জয়ী প্রার্থীকেও ধরে রাখতে পারে কি না কংগ্রেস।
{promotion-urls}