৩০ ঘণ্টায় মৃত আট শিশু, পুরুলিয়া হাসপাতালে উত্তেজনা, তদন্তের নির্দেশ
পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে গত ৩০ ঘণ্টায় এই শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে অত্যন্ত কম ওজন নিয়ে জন্মানো, অপুষ্টি ও শ্বাসকষ্টকেই কারণ হিসাবে ঠাওরাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। যদিও মৃত শিশুদের পরিবারের তরফে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। রাজ্যে শিশু মৃত্যু রোধে গঠিত টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি ক্লাস্টার ডেথের ঘটনা। অর্থাৎ সব ক'টি শিশুর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনকভাবে শুক্রবার ঘটেছে। তবে আমরা আগে থেকে কিছু ধরে নিচ্ছি না। প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদাভাবে তদন্ত করে দেখা হবে।"
পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জনা সেন বলেন, "বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১১টা, এই সময়ে ছ'টি শিশু মারা গিয়েছে। আবার শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আরও দুই রুগ্ণ নবজাতক মরে গিয়েছে। এরা সবাই অপুষ্টির শিকার ছিল। জন্মের পর ভালোভাবে নিঃশ্বাসও নিতে পারছিল না।"
এদিকে একটি ঘটনায় সরাসরি লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত শিশুর বাবা-মা। গত বৃহস্পতিবার রাতে আড়ষা গ্রামের সিদ্ধেশ্বর কুইরির আসন্নপ্রসবা স্ত্রী ভর্তি হন হাসপাতালে। সেই রাতে তিনি একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। শিশুটি খুবই দুর্বল থাকায় তাকে আলাদাভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বাচ্চাটিকে বাঁচাতে পারেননি ডাক্তাররা। সিদ্ধেশ্বরবাবুর অভিযোগ, "বাচ্চার শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার পরও ডাক্তারবাবু গুরুত্ব দেননি। আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সুবিচারের আশায় আছি।"
পুরুলিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, "এই শিশুগুলি কম ওজন নিয়ে জন্মাচ্ছে। এতটাই কম যে, কিছু করা যাচ্ছে না। আমাদের তরফে গালিফতি নেই। ওজন কম নিয়ে জন্মানোর ফলেই বাচ্চাগুলি মারা গিয়েছে।"