কালো টাকা উদ্ধারে ইডি-হানা কলকাতার ব্যাঙ্কে, তল্লাশি অভিযান শিয়ালদহের অভিজাত আবাসনেও
কালো টাকা উদ্ধারে কলকাতায় হানা দিল ইডি। কলকাতার বিভিন্ন ব্যাঙ্কের পাশাপাশি অভিজাত আবাসনেও হানা দিচ্ছেন ইডি-র অফিসাররা। অভিযোগ, ব্যাঙ্কের কর্মীদের মদতে কালো টাকা সাদা করার জাল ছড়িয়েছে কলকাতাতেও।
কলকাতা, ৭ ডিসেম্বর : কালো টাকা উদ্ধারে কলকাতায় হানা দিল ইডি। কলকাতার বিভিন্ন ব্যাঙ্কের পাশাপাশি অভিজাত আবাসনেও হানা দিচ্ছেন ইডি-র অফিসাররা। অভিযোগ, ব্যাঙ্কের কর্মীদের মদতে কালো টাকা সাদা করার জাল ছড়িয়েছে কলকাতাতেও। সেই জাল কাটতেই ইডি হানা দিয়েছে ব্যাঙ্ক ও আবাসনগুলিতে। বুধবার বড়বাজার চত্বরে কয়েকটি ব্যাঙ্কের শাখায় তল্লাশি চালান ইডি-র আধিকারিকরা। এদিনই শিয়ালদহের একটি অভিজাত আবাসনে ব্যবসায়ী সঞ্জয় জৈনের ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি।
ইডি-র কাছে খবর জনধন যোজনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিয়ে কালো টাকা সাদা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে কিছু ফেক অ্যাকাউন্টও খোলা হচ্ছে। আর এই কাজের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছেন ব্যাঙ্কের কিছু অসাধু কর্মী ও অফিসাররা। মূলত তাঁরাই কমিশনের লোভে এইসব কাজ করে চলেছেন। তাঁদের সঙ্গে এলাকার নামী ব্যবসায়ীদের যোগসূত্র রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৮ নভেম্বর নোট বাতিল ঘোষণার চারদিনের মাথায় বড় বাজারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এক লপ্তে ৩ কোটি টাকা জমা পড়ে। তখন থেকেই সন্দেহের তালিকায় ছিল ওই ব্যাঙ্কের শাখা। তারপর ওই বিপুল পরিমাণ টাকা ছড়িয়ে যায় অনেকগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেগুলি সবই ফেক অ্যাকাউন্ট বলেই জানতে পেরেছে ইডি।
এর পাশাপাশি দিল্লিতে দু'জন ব্যাঙ্ক অফিসার ধরা পড়েছেন এই ধরনের দুর্নীতির দায়ে। তাই এবার নজরে কলকাতা। কলকাতাতেও এই ধরনের দুর্নীতি চলছে ব্যাঙ্কগুলিতে। ইডি আধিকারিকরা সেই জাল কেটেই কালো টাকার সাদা করার অবৈধ রাস্তা বন্ধ করতে তৎপর।
শিয়ালদহের অভিজাত আবাসনে সঞ্জয় জৈনের ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছে পুলিশ। ওই ব্যবসায়ী ভুয়ো নামে অনেক কোম্পানি চালাতেন বলে অভিযোগ। ওই সব কোম্পানির আড়ালে বহু কালো টাকা মজুত রয়েছে।