শুভাপ্রসন্ন কি বিদেশে লুকিয়ে, ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হতে পারে ইডি
সারদা-কাণ্ডে ইতিমধ্যে উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা ঘনিষ্ঠ চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্যের নাম। যতদিন তাঁর পাশে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তিনি বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। কিন্তু গত শনিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের কর্মীসভায় পরিষ্কারভাবে তাঁকে ঝেড়ে ফেলে দেন মমতা। সোমবার তাঁর হাজির হওয়ার কথা ছিল ইডি-র দফতরে। তিনি যাননি। তার পর থেকে গত ছ'দিনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে ইডি। মনে করা হচ্ছে, দলনেত্রী পাশ থেকে সরে দাঁড়ানোয় ভেঙে পড়েছেন শুভাপ্রসন্ন। গ্রেফতারি নিশ্চিত বুঝেই হয়তো সরে পড়েছেন।
সল্ট লেকের বাড়িতে তিনি নেই। রায়চকের বাড়িতে গিয়েও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কলকাতার যেখানে-যেখানে তিনি যেতেন, সব জায়গায় খোঁজ করেছে ইডি। কোত্থাও নেই। ইডি-র কাছে একটি সূত্র খবর দিয়েছে যে, তিনি দিল্লিতে গা-ঢাকা দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে নাকি তাঁকে দিল্লি বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছে। আর একটি সূত্রের খবর, নেপালের কাঠমান্ডুর রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে শুভাপ্রসন্নকে। তা হলে কি, কলকাতা থেকে দিল্লি হয়ে নেপাল পালালেন? সেখান থেকে দুবাই বা সিঙ্গাপুর পালাবেন? কলকাতা থেকে সরাসরি বিমানে বিদেশে পালালে রেকর্ড থাকত। তাই হয়তো দিল্লি থেকে পাড়ি দিয়েছেন অন্যত্র। যদিও ইডি বলেছে, যে দুই সূত্র থেকে খবর পাওয়া গিয়েছে, তারা শুধু এটুকু বলেছে যে, বড় দাড়িওয়ালা টাকমাথা লোককে তারা দেখেছে। পৃথিবীতে এমন বড় দাড়িওয়ালা টাকমাথা লোক অনেক আছে। সুতরাং, তিনিই যে শুভাপ্রসন্ন, এটা একশো শতাংশ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ইডি-র অফিসারদের দাবি, আরও তিন-চারদিন দেখা হবে। যদি তিনি স্বেচ্ছায় হাজিরা না দেন, তা হলে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা বের করা হবে। দেশের সব বিমানবন্দর, রেলস্টেশনকে সতর্ক করা হবে। এমনকী, ইন্টারপোলকে বলা হবে ঘটনাটি। যদি ইতিমধ্যে সত্যিই তিনি বিদেশে পালিয়ে যান, তা হলে তাঁকে পাকড়াও করে আনবে ইন্টারপোল।