গাড়ি ভর্তি ভেজাল ওষুধ উদ্ধার ডানকুনিতে, বাজেয়াপ্ত নামী কোম্পানির স্টিকার
গাড়ি হাইজ্যাকের তদন্তে নেমে পুলিশ হদিশ পেয়েছিল ভেজাল ওষুধ কারখানার। এবার নামী ওষুধ কোম্পানির অভিযোগ, হুবহু একই নামে ভেজাল ওষুধ ছেয়ে যাচ্ছে বাজার।
গাড়ি ভর্তি ভেজাল ওষুধ ও ওষুধ তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। অকুস্থল ফের সেই ডানকুনি। সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। ডানকুনির চৌমাথায় দিল্লি রোড থেকে একটি ম্যাটাডোর আটক করা হয়। গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক দেবীপ্রসাদ রায়কে। মঙ্গলবার তাকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়। ধৃত ব্যক্তি জানায়, তার গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল। সে এই জাল ওষুধের ব্যাপারে কিছু জানে না।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই গাড়িটি থেকে আটটি বাক্স ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে, প্রতিটি বাক্সে ৪৮টি করে ওষুধ ছিল। ১ হাজার লিটার সিরাপ জাতীয় ওষুধ পাওয়া গিয়েছে। সেইসঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নামী কোম্পানির প্রায় চার হাজার স্টিকার। হুগলিতে কয়েকদিন আগেও জাল ওষুধ চক্রের সন্ধান মিলেছিল। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সেই ওষুধ। গাড়ি হাইজ্যাকের তদন্ত নেমে শ্রীরামপুরে সেই জাল ওষুধ কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ।
এবার কয়েকটি ওষুধ কোম্পানি অভিযোগ করে, তাঁদের নামে এলাকায় জাল ওষুধ বিক্রি চলছে। সেইমতো তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে জাল ওষুধ তৈরির সরঞ্জাম আসে সড়কপথে। গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে ওই গাড়িতে করে জাল ওষুধ আসছে। সেইমতো গাড়িটিকে পাকড়াও করে পুলিশ। ধৃত চালককে জেরা তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন, কারা ভাড়া করেছিল গাড়িটি। যারা গাড়িটি ভাড়া করে তাদের পরিচয়ও জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ ইতিমধ্যে চণ্ডীতলা এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল গাড়িটির।