রাতভর অবিরাম বৃষ্টি, হেমন্তে ‘নাদা’র হানায় মাটি হবে জগদ্ধাত্রী পুজোর উন্মাদনা!
মনেই হচ্ছে না হেমন্তকাল, এ তো ভরা বর্ষা। শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি চলছে। এবার জগদ্ধাত্রী পুজোও ভাসাতে চলেছে ‘নাদা'। যদিও আলিপুর হাওয়া অফিস আশ্বাস দিয়েছে সোমবার থেকেই উন্নতি হবে আবহাওয়ার।
কলকাতা, ৫ নভেম্বর : মনেই হচ্ছে না হেমন্তকাল, এ তো ভরা বর্ষা। শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি চলছে। বিরাম নেই। এবার জগদ্ধাত্রী পুজোও ভাসাতে চলেছে 'নাদা'। যদিও আলিপুর হাওয়া অফিস আশ্বাস দিয়েছে সোমবার থেকেই উন্নতি হবে আবহাওয়ার। কিন্তু মন যে মানে না। রাত পোহালেই চন্দননগরের আলোর উৎসব শুরু। তা প্রায় মাটি হতেই বসেছে এবার। মাথায় হাত উদ্যোক্তাদের।
দুর্গাপুজোর নবমীতে অসুররূপী বৃষ্টির আবির্ভাব হয়েছিল। ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল নবমীর রাতকে। তারপর কালীপুজোয় 'ক্যান্ত' আতঙ্কে ভোগা। আর সবশেষে জগদ্ধাত্রী পুজো ভাসাতে এসে গিয়েছে নাডা। তবে একটাই আশা যে, 'নাদা' ক্রমশ এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের দিকে। কলকাতার খুব কাছেই নিম্নচাপ অবস্থান করায় আকাশের মুখভার থাকবে আগামী দু'দিন। হালকা-মাঝারি বৃষ্টি চলবে।
কিন্তু দর্শনার্থীদের মনে একটা আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে, নিম্নচাপ আরও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলে কলকাতা ও শহরতলির জেলাগুলিতে বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ বর্তমানে অবস্থান করছে ওড়িশার পারাদ্বীপের অদূরে।
নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে দিন দুয়েকের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আর তার অভিমুখ বাংলাদেশের দিকে। মানে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের গা ঘেঁষেই তা বয়ে যাবে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে। তার প্রভাবে শনি ও রবিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়।
সমুদ্র উপকূলে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মত্স্যজীবীদের। এদিকে রবিবার ষষ্ঠী। চন্দননগরের মতো রাজ্যের অনেক জায়গাতেই শুরু জগদ্ধাত্রী আরাধনা। রবিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস তো রয়েইছে, আবহাওয়া যদি আরও খারাপ হতে থাকে, তবে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর আলো নিভে যাবে নাডার হামলায়। প্রকৃতির খেয়ালে তাই আশা-আশঙ্কার দোলাচল থেকে মুক্তি মিলছে না বাংলার।