‘ডনে’র হত্যাকাণ্ডে বড় মাথার হদিশ পেল পুলিশ, নজরে ভিনরাজ্যের ২ সুপারি কিলার
‘ডন’ শ্রীনু নাইডু হত্যাকাণ্ডে বড় মাথার হদিশ পেল পুলিশ। নজরে উঠে এল দুই সুপারি কিলার। ওই সুপারি কিলার ও বড় মাথাকে জালে পুরতে জেলা পুলিশের বিশেষ টিম যাচ্ছে জামশেদপুরে।
পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ জানুয়ারি : 'ডন' শ্রীনু নাইডু হত্যাকাণ্ডে বড় মাথার হদিশ পেল পুলিশ। নজরে উঠে এল দুই সুপারি কিলার। ওই সুপারি কিলার ও বড় মাথাকে জালে পুরতে জেলা পুলিশের বিশেষ টিম যাচ্ছে জামশেদপুরে।[শ্রীনু হত্যাকাণ্ডের রিমোট কন্ট্রোল ছিল তাঁরই পুরনো সহযোগী শঙ্কর ওঁরাওয়ের হাতে]
এদিনই শ্রীনু হত্যাকাণ্ডে জন ফ্রান্সিসকে গ্রেফতার করল মেদিনীপুর পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর থেকে জন ফ্রান্সিসকে গ্রেফতার করার পর তাকে জেরা করেই বড় মাথার হদিশ মিলেছে। শুক্রবারই শ্রীনু হত্যাকাণ্ডে সাতজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বাকি চারজনের খোঁজে তল্লাশি জারিই ছিল। এদিন আরও একজনকে গ্রেফতার করা হল। এই নিয়ে মোট ৮ জন গ্রেফতার হল শ্রীনু খুনের ঘটনায়। ধৃত ফ্রান্সিসের বাড়িতেই শেষ বৈঠক বসেছিল, তাঁর বাড়িতে বসেই চূড়ান্ত হয়েছিল ব্লু-প্রিন্ট।[শ্রীনু হত্যাকাণ্ডে বড় মাথা, ঘাটাল ও জামশেদপুর থেকে গ্রেফতার ৭]
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ আগের দিনই বলেছিলেন, এই খুনের পিছনে রয়েছে অনেক বড় মাথা। মোট ১১ জন দুষ্কৃতী পরিকল্পিতভাবে পার্টি অফিসে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল। পুলিশ জানতে পেরেছে, শঙ্কর ওঁরাও ও নন্দ দাসের সঙ্গে আগে থেকেই শত্রুতা ছিল শ্রীনুর।
পুরভোটের সময়ই শঙ্করের সঙ্গে শ্রীনুর ঝামেলা হয়। আর নন্দ দাসের সঙ্গে ব্যবসায়িক শক্রতা ছিল। শ্রীনুর সমস্ত শত্রুরা মিলে গিয়েছিল তাঁকে সরিয়ে দিতে। সেইমতোই মাফিয়া চক্রের সঙ্গে বসে সুপারি কিলার নিয়োগ করে এই খুন করা হয়।