পূজালিতে বিজেপি-র জয়ী প্রার্থী দলবদলে তৃণমূলে, দিলীপের হুঁশিয়ার দিন বদলাবে, সেদিন হবে ভয়ঙ্কর’
বিজেপি-র জয়ী প্রার্থীই দু’দিনের মধ্যে ড্যাংডেঙিয়ে চলে গেলেন তৃণমূল। ফের একবার ভোট প্রহসনে পরিণত হল। নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে পড়ল।
দিন কয়েক আগেই পূজালিতে বিজেপি-র বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে সংবর্ধনা নিয়েছেন রূম্পা ঘোড়ুই। কিন্তু, পরদিনই তিনি নাম লেখান তৃণমূলে। নির্বাচিত হওয়ার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই দল বদলের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুক্রবার ক্যানিং-এ এক অনুষ্ঠানে এরজন্য তৃণমূলকে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। জানান, যে দিন ক্ষমতার বদল হবে, সেদিন কিন্তু ভয়ঙ্কর হবে। পূজালি পুরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডে পুরভোটে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়েছিল। এতে তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। যার জন্য এই ওয়ার্ডের একটি বুথেও পুনর্নির্বাচন হয়।
ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায়, এই ওয়ার্ড থেকেই জয়ী হয়েছে বিজেপি প্রার্থী। সেই জয়ী প্রার্থী ফল প্রকাশের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় কার্যত তাঁদের মুখ পুড়েছে বলেই মনে করছে বিজেপি। যদিও, এই দলবদলকে সন্ত্রাসের ফল বলেই মনে করছে তাঁরা। কারণ, রাজ্য বিজেপি-র একটা অংশের মতেষ রূম্পা ঘোড়ুইকে ভয় দেখিয়ে জোর করে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের তরফে প্রত্যাশিতভাবেই অভিযোগ খণ্ডন করা হয়েছে। তাঁদের পাল্টা দাবি, রাজ্যে উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতেই তিনি তৃণমূলে যোগদান করেছেন। শুক্রবার ক্যানিং-এ দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, 'আমরা এই পরিবর্তন চাইনি। রাজ্যে পরিবর্তন আসার পর প্রকল্পের নাম পাল্টে দেওয়া হচ্ছে, বাংলার নাম বদলে দিচ্ছেন, রঙ পাল্টে দিচ্ছেন। আর যখন এতেও কিছু হচ্ছে না তখন জোর করে ভয় দেখিয়ে সিপিএম, কংগ্রেস ও তাঁদের দলের সদস্যদের টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছেন। আর যখন টাকা শেষ হয়ে আসছে, তখন বোমা-বন্দুকের ভয় দেখিয়ে দল পরিবর্তন করাচ্ছেন পঞ্চায়েত সদস্য-কাউন্সিলরদের।' এভাবে বেশিদিন শাসন কায়েম করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ।
{promotion-urls}