ঘরছাড়া সিপিএম কর্মীরা বাড়ি ফিরতেই বোমাবাজি, গুলি, কালীপুজোর দিনে কাটোয়ায় নামল র্যাফ
দীপাবলিতে পিছু ছাড়ল না রাজনৈতিক কোন্দল। শুক্রবার রাত থেকেই দফায় দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমানের কাটোয়ার গুসুম্বা গ্রাম। সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়৷
বর্ধমান, ২৯ অক্টোবর : দীপাবলিতে পিছু ছাড়ল না রাজনৈতিক কোন্দল। শুক্রবার রাত থেকেই দফায় দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমানের কাটোয়ার গুসুম্বা গ্রাম। সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়৷ বোমাবাজি, গুলি চলে যথেচ্ছ। বিশাল পুলিশবাহিনী, র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসিয়ে উৎসবের মরশুমে শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
ভোটের পর থেকেই এলাকার সিপিএম কর্মীরা ঘরছাড়া। দীপাবলির আগে তাঁদের বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগ নেয় স্থানীয় প্রশাসন। সেইমতো বৃহস্পতিবার ১০ সিপিএম কর্মী বাড়ি ফেরেন। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঘরে ফেরা সিপিএম কর্মীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
শুক্রবার রাত থেকেই দুই তরফের মধ্যে দফায় দফায় বোমাবাজি চলে৷ সিপিএম কর্মীদের উপর গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ করে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব৷ তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল চায় না, তাদের বিরোধী কেউ গ্রামে থাকুক। তাই আবারও ওই সিপিএম কর্মীদের ঘর ছাড়া করতে এই হামলা ও হুমকি চলছে। সঙ্ঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন একজন মহিলা সিপিএম কর্মী।
ঘরছাড়া সিপিএম কর্মীদের আরও অভিযোগ, এর আগেও একইভাবে গ্রাম ছাড়া হতে বাধ্য করেছিল তৃণমূল। দীপাবলির উৎসবের আগে পরিবারের সবার সঙ্গে কাটাতে যদিও বা বাড়ি ফিরলাম, আবারও একই খেলা শুরু করেছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার গ্রামে ফেরার পর থেকেই শুরু হয়েছে সংঘর্ষ৷ যদিও তৃমমূলের পক্ষে এই বোমাবাজি ও হামলার ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে। পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে টহল দিচ্ছে সশস্ত্রবাহিনী৷ পুলিশ পিকেট বসিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷ এদিনও এলাকায় রয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা।