অশান্ত পাহাড়, তৃতীয় দিনে মোর্চার অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘট, পর্যটকদের চূড়ান্ত ভোগান্তি
অশান্তি জিইয়ে রেখেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। কিছুতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না। ফলে হোটেল মালিকরা অনুরোধ করছেন, পর্যটকদের ঘর ছেড়ে দিতে।
পাহাড়ে অশান্তি জিইয়ে রেখেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। কিছুতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না। অবস্থা এতটাই সঙ্গীন যে হোটেলগুলিতে খাবারের মজুত ফুরিয়ে এসেছে। ফলে হোটেল মালিকরা অনুরোধ করছেন, পর্যটকদের ঘর ছেড়ে দিতে। দার্জিলিং ছেড়ে যত তাড়াতাড়ি সমতলে চলে যাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন কেউ কেউ।
মোর্চার বিক্ষোভের মাঝে গত বুধবার পর্যন্তও হোটেল মালিকরা পর্যটকদের সঙ্গেই ছিলেন। তাদের থেকে যাওযার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেইসময়ে দোকান-বাজার খোলা ছিল। খাবারের যোগানে সমস্যা হচ্ছিল না। এমনকী যাতায়াতের সমস্যাও খুব একটা ছিল না।
তবে গত বৃহস্পতিবার পাহাড়ে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়। ওইদিনে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুয়ের কার্যালয়ে পুলিশ হানা দিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে। তারপর থেকেই পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সেদিন থেকেই পরিস্থিতি আমূল পাল্টে গিয়েছে।
এক হোটেল মালিক জানাচ্ছেন, আমাদের কী করার আছে? খাবার সব ফুরিয়ে আসছে। কিনতেও পারছি না। কবে পারব তাও জানি না। পর্যটকদের তাই চলে যেতে বলেছি।
কোথাও চেয়ে গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। সামান্য ভাড়ার গাড়িগুলি একটু রাস্তা যেতেই কয়েক হাজার টাকা করে দাবি করছে। ফলে অনেক পর্যটক পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে কয়েক কিলোমিটার ট্রেক করে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন।
সরকারের তরফে সাহায্য করে পর্যটকদের বাসে চাপিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। তবে সেজন্য দার্জিলিংয়ের বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত পর্যটকদের আসতে হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে সেই রাস্তাটুকু আসা অনেকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পর্যটকরা নানা জায়গায় আটকে। দার্জিলিং থেকে বাসে শিলিগুড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যারা সমতলের বাসে চাপতে পারছেন তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন আর যারা পারছেন না, তারা অপেক্ষা করে রয়েছেন, কবে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাবেন।