তৃণমূলের কীর্তিমান দাদা-দিদিদের 'কথাকাব্য'
একঝলকে দেখে নেওয়া যাক তৃণমূল নেতানেত্রীদের উল্লেখযোগ্য সেই সব অসংযত মন্তব্য
কাকলি
ঘোষদস্তিদার
পার্ক
স্ট্রিট
ধর্ষণকাণ্ড
নিয়ে
বারাসতের
তৃণমূল
সাংসদ
কাকলি
ঘোষদস্তিদার:
'কোনও
ধর্ষণের
ঘটনা
ঘটেনি'।
'দুই
পক্ষের
ভুল
বোঝাবুঝি
হয়'।
'মেয়েটি
ও
খোদ্দেরের
মধ্যে
গণ্ডগোল
হয়েছিল'।
দেব
লোকসভা
নির্বাচনে
প্রার্থী
হওয়ার
পরেই
মিডিয়ার
নজরদারি
বেড়ে
গিয়েছিল
সুপারহিট
অভিনেতা
প্রার্থী
দেবের
উপর।
সে
প্রসঙ্গে
দেব:
'ইটস
জাস্ট
লাইক
বিইং
রেপড
ইয়ার।
ইউ
ক্যান
সাউট
অর
ইউ
ক্যান
এনজয়
(হাসি)।
ব্যাস
এর
বেশি
আর
কী?'
(আরও
পড়ুন)
অনুব্রত
মণ্ডল
(১)
মঙ্গলকোটের
কৈচরে
বীরভূমের
তৃণমূল
জেলা
সভাপতি
অনুব্রত
মণ্ডল,
"এ
রাজ্যে
এখন
বিরোধী
বলে
কিছু
নেই।
সব
গর্তে
ঢুকে
গিয়েছে।
তবে
সিপিএম,
কংগ্রেস,
বিজেপি
সব্বাই
ইঁদুরের
বাচ্চা।
ওরা
মাঝেসাঝে
গর্ত
থেকে
মুখ
বের
করার
চেষ্টা
অবশ্য
করছে
বটে।
মানুষের
কাছে
অনুরোধ,
ওদের
দেখলেই
গর্তের
মুখ
বুজিয়ে
দিন।
একবার
ধান
কাটার
পর
গর্ত
থেকে
ইঁদুর
বের
হলে
চাষীরা
বিষ
দিয়ে
মেরে
দেয়।
নইলে
চাষ
করতে
অসুবিধা
হয়।
তাই
শান্তিতে
থাকতে
ওদের
বিষ
দিয়ে
মেরে
ফেলুন।
ঝাড়ু
দিয়ে
যেমন
ময়লা
সাফ
করেন,
তেমনই
সমাজকে
পরিষ্কার
রাখতে
সিপিএম,
কংগ্রেস,
বিজেপি-কে
সাফ
করে
দিন।
মঙ্গলকোট
থেকে
আমাদের
প্রার্থীকে
রেকর্ড
ভোটে
জেতান।"
(আরও
পড়ুন)
অনুব্রত
মণ্ডল
(২)
নির্দল
প্রার্থী
হুমকি
দিলে
তার
বাড়ি
ভেঙে
জ্বালিয়ে
দিন।
যদি
প্রশাসন
ভাবে
নির্দলকে
সমর্থন
করবে,
সেই
প্রসাসনের
পুলিশের
উপর
বোম
মারুন।
আমি
বলছি
বোমা
মারতে।
অনুব্রত
মণ্ডল
(৩)
কাটোয়ায়
মুখ্যমন্ত্রীর
ছবি
ছিঁড়ে
দেওয়ার
অভিযোগের
প্রেক্ষিতে
অনুব্রত
মণ্ডল
:
পোস্টার
ছিঁড়লে
কংগ্রেসের
কব্জি
কেটে
নেওয়া
হবে৷
মণিরুল
ইসলাম
কংগ্রেস
নেতার
প্রসঙ্গে
প্রকাশ্য
জনসভায়
লাভপুরের
বিধায়ক
মণিরুল
ইসলাম
:
কংগ্রেস
নেতার
মুণ্ডু
আদায়
করতে
এক
মিনিটও
সময়
লাগবে
না।
তাপস
পাল
নদিয়ার
তেহট্টে
চৌমাহা
গ্রামে
প্রকাশ্য
সমাবেশে
কৃষ্ণনগরের
তৃণমূল
সাংসদ:
"বিরোধীদের
বলছি...আমি
অনেক
বড়
রংবাজ,
আমি
প্রচুর
মাস্তানি
করেছি।
আমি
পকেটে
মাল
নিয়ে
ঘুরি,
...আমি
নিজে
রিভলবার
দিয়ে
গুলি
করে
চলে
যাব।
আমার
মা,
বোন,
বাবা,
বাচ্চা
কারোর
গায়ে
যদি
হাত
পরে
আমি
ছেড়ে
কথা
বলব
না।
আমাদের
ছেলেদের
ঘরে
ঢুকিয়ে
দেব
রেপ
করে
চলে
যাবে।
আমাদের
তৃণমূলের
কারও
গায়ে
যদি
সিপিএম
হাত
দেয়
তাদের
গুষ্টি
শেষ
করে
দেব।
বাড়ি,
ঘর
সব
জ্বালিয়ে
দেব।"
(আরও
পড়ুন)
চিরঞ্জিত
চক্রবর্তী
ইভটিজিং
প্রসঙ্গে
বারাসতের
তৃণমূল
সাংসদ
চিরঞ্জিত:
ইভ
টিজিং
অনেক
পুরোনো
বিষয়।
এটা
বয়সের
ওপর
নির্ভর
করে।
ইভ
টিজিং
বেড়ে
যাওয়ার
কারণ
নারীদের
সংক্ষিপ্ত
পোশাক
ও
স্কার্ট।
এসব
তরুণ
ছেলেদের
প্ররোচিত
করে।
পোশাকের
ব্যাপারে
নারীদের
সতর্ক
হওয়া
উচিত।
নারীর
পোশাকের
কারণে
ইভ
টিজিং
বাড়ছে।
ইভ
টিজিংয়ের
ঘটনা
ভালো
নয়।
আমরা
এর
নিন্দা
জানাই।
তবে
একটা
বিষয়
ল
করা
প্রয়োজন,
রাবণ
ছাড়া
রামায়ণ
হতে
পারে
না।
লিয়াকত
মণ্ডল
ধর্ষণ
প্রসঙ্গে
দক্ষিণ
২৪
পরগনার
বিষ্ণুপুরের
পঞ্চায়েত
সদস্য
লিয়াকত
মণ্ডল
:
"ধর্ষণের
দায়
শুধু
ছেলেদের
ওপর
চাপালে
চলবে
না।
মেয়েটি
কেন
রাতের
অন্ধকারে
একা-একা
বাড়ি
ফিরছিল?
নিশ্চয়
সে
প্ররোচনা
দিয়েছিল,
নইলে
গ্রামের
ছেলেরা
তাকে
ধর্ষণ
করতে
যাবে
কেন?"
(আরও
পড়ুন)
অরূপ
চক্রবর্তী
দলীয়
কর্মীদের
পরামর্শ
বাঁকুড়া
জেলার
সভাধিপতি
অরূপ
চক্রবর্তী
:
তোদের
বাড়িতে
যদি
বাইরের
কেউ
ঢোকে
কেটে
দিবি।
বলি
দিয়ে
দিবি।
আমি
বুঝে
নেব।
স্বপন দেবনাথ
সিপিএম নেত্রীদের নমুনার কথা আমাদের বলবেন না। ওরা দরকার পড়লে নিজেরাই নিজেদের ব্লাউজ ছিঁড়ে দিয়ে বলে আমি আক্রান্ত হয়েছি। ওরা এরকমই লোক। পুলিশ আগে বলত প্রোমোশন পাওয়ার জন্য নিজেদের ছেলেকেও মাঝে মাঝে ডাকাতি কেসে দিয়ে দিত, মানে প্রমাণ করত যে আমি কত বড় অফিসার। সিপিএমের ওরা, সিপিএম-এ মহিলা সমিতির অনেক নেত্রীকে আমরা জানি, নিজেই নিজের ব্লাউজ ছিঁড়ে দিয়ে বলে দিল, ওমুকে আমার ব্লাউজ ছিঁড়ে দিয়েছে, আমার অসম্মান করেছে, শালীনতা ভঙ্গ করেছে। আবার যদি বাড়িতে স্বামী স্ত্রী ঝগড়া যদি হয়ে যায়, পরে স্বামীর ঘাড়ে না চাপিয়ে তৃণমূলের কারও ঘাড়ে দেখবেন দোষ চাপিয়ে দেওয়াটা এখন ওরা আরম্ভ করেছে।