রানাঘাটে লুটিয়ে পড়ল কংগ্রেস, তৃণমূলে শঙ্কর-অরিন্দম
কংগ্রেসে ভাঙন অব্যাহত। এবার কংগ্রেস ছেড়ে দুই বিধায়ক শংকর সিং ও অরিন্দম ভট্টাচার্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। বুধবার তৃণমূল ভবনে এসে তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শঙ্কর সিংয়ের অনুগামী নদিয়ার আরও অনেক কংগ্রেস নেতা এদিন তৃণমূলে নাম লেখালেন।
বুধবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে শঙ্কর সিং বলেন, বিভেদকামী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই তৃণমূলে এলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে চান তিনিও। এদিন পার্থবাবু ঘোষণা করেন, শঙ্কর সিংকে নদিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসর কার্যকরী সভাপতি নিযুক্ত করা হল। অরিন্দম ভট্টাচার্য হলেন জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি।
এদিন যে শুধু কংগ্রেসেরই শক্তিক্ষয় হল তা নয়, নদিয়া সিপিএমেও ভাঙন ধরাল তৃণমূল কংগ্রেস। শরদিন্দু দেবনাথ, তপন ধরের মতো অনেক সিপিএম নেতা এদিন তৃণমূলে যোগ দেন।শঙ্কর সিংয়ের তৃণমূলে যোগদান কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা। শঙ্কর সিং-এর মতো নেতা দলবল নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে চলে যাওয়া্র অর্থ নদিয়ায় কংগ্রেসের শেষ হয়ে যাওয়া।
শঙ্কর সিংয়ের অনুগা্মীদের বক্তব্য, নদিয়ার বুকে অসম লড়াই চালিয়ে আমরা কংগ্রেসের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিলাম। সোনিয়া গান্ধী নিজের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সখ্যতা করেছেন দিল্লিতে ডেকে। তাহলে এ রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে অসম লড়াই চালিয়ে কী লাভ! বরং সরাসরি তৃণমূলে যোগ দেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করছেন তাঁরা।