পাহাড় পরিস্থিতি রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব অধীর ডাক দিলেন ‘শিলিগুড়ি চলো’, আন্দোলনে সিপিএমও
পাহাড় নিয়ে সপ্তাহভর তুলকালাম চলছে। মোর্চা বনাম রাজ্যের লড়াইয়ে এতদিন মুখ খুললনে অধীর-সূর্যকান্তরা।
সিপিএম-এর পর পাহাড় পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে এবার আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করল কংগ্রেস।পাহাড় পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি চলোর ডাক দেওয়া হয়েছে। তার আগে বুধবার ভাঙড়েও সভা করছে কংগ্রেস। রাজ্যের নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে আরও একগুচ্ছ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
বুধবার দার্জিলিং নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের কঠোর সমালোচনা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, দার্জিলিং দখল করতে প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ভোটের আগে তিনি অডিট করাচ্ছেন জিটিএ-তে। একইভাবে পুরসভাগুলিতেও অডিট টিম পাঠিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে শাসক দল তৃণমূল। পাহাড় পরিস্থিতি ও রাজ্য সরকারের এই ভূমিকা নিয়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে কংগ্রেস। সেই আন্দোলনের আঙ্গিক হিসেবেই বৃহস্পতিবার 'শিলিগুড়ি চলো'ক ডাক।
অধীরবাবু আরও বলেন, 'মিরিকে জনসভায় গিয়ে উসকানিমূলক কথা বলার জন্যই হঠাৎ করে অশান্ত হয়ে উঠল পাহাড়। পাহাড়ে গিয়ে তো এত কথা বলার কোনও প্রয়োজনই ছিল না।' বাংলা ভাষা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য সমীচিন ছিল না বলে মন্তব্য করেন অধীর। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'কেন বাংলা ভাষা নিয়ে তিনি পাহাড়ের জন্য অন্য অবস্থানের কথা জানাতে গেলেন?'
পাহাড়ের মতোই এদিন ভাঙড় ইস্যুতেও রাজ্য সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে বলছেন কারও জমি নেওয়া হবে না। অন্যদিকে তিনি বলছেন প্রকল্প হওয়া জরুরি।'
এই দ্বিমুখী অবস্থানের বিরুদ্ধেই কংগ্রেস ভাঙড় চলোর ডাক দিয়েছে বলে জানান অধীর। পাহাড় পরিস্থিতি-সহ রাজ্য সরকারের জনবিরোধী নীতি নিয়ে ১২ জুলাই শহিদ মিনারে মহাসভারও ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।