ভোটগ্রহণের মাঝপথেই প্রার্থী প্রত্যাহার কংগ্রেস ও বিজেপি-র! এমন সিদ্ধান্তে কোন রাজনীতির বার্তা
পুর নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। কিন্তু, রবিবার ভোটগ্রহণ চলাকালীন কংগ্রেস ও বিজেপি যে সিদ্ধান্ত নিল তাতে হতাশ হবেন না তো তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা? এই প্রশ্ন এখন সকলের।
সন্ত্রাসের সঙ্গে লড়াই করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী প্রত্যা্হার করে নিল কংগ্রেস ও বিজেপি। রবিবার পুর নির্বাচনে ভোটদানের মাঝপথেই রায়গঞ্জ পুরভোটে তাদের সমস্ত প্রার্থী প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি। তিনি স্পষ্টতই তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আঙুল তোলেন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে এবং রাস্তায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখিয়েছে।
এমনকী, তৃণমূলের বাইক বাহিনী যেভাবে বুথ দখল করেছে, ছাপ্পা ভোট দিয়েছে, কিছু কিছু জায়গায় ইভিএম-এও ভাঙচুর চালিয়েছে তা ভয়ানক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। পুলিশ সব দেখেও নীরব দর্শকের মতো ছিল। ভোটকর্মী এবং বিরোধী প্রার্থীদের এই সন্ত্রাসের পরিবেশে মোকাবিলা করার মতো কোনও শক্তিও ছিল না। তাই রায়গঞ্জে পুর নির্বাচন প্রহসনেই পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন দীপা দাশমুন্সি। এমন ভোটে তাই প্রার্থী প্রত্যাহার করে প্রতিবাদ জানানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও শাসক দলের বিরুদ্ধে যথেচ্ছ সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সরব হন এবং সাংবাদিক সম্মেলন করে রায়গঞ্জ পুর নির্বাচনে প্রার্থী প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন। পরে রায়গঞ্জ বিজেপি-র পক্ষ থেকেও প্রার্থী প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়। বিজেপি পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।