বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টে অভিযুক্তের অন্তর্ভুক্তিতে বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য কমিশন
বেসরকারি হাসপাতাল শাসনে কমিশন গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মাত্র একদিন বয়স সেই হেল্থ রেগুলেটরি কমিশনের। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর গড়া কমিশনের বৈধতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল।
কলকাতা, ১৮ মার্চ : বেসরকারি হাসপাতাল শাসনে কমিশন গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র একদিন বয়স সেই হেল্থ রেগুলেটরি কমিশনের। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর গড়া কমিশনের বৈধতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল। ১১ সদস্যের কমিশনের চেয়ারম্যানের নিযুক্তি নিয়েই উঠে পড়ল প্রশ্ন। সেইসঙ্গে কমিশনের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয় বলেও অভিযোগ।
প্রথম বিতর্ক কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে হাইকোর্টের বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের নিযুক্তি নিয়ে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন, কর্মরত অবস্থায় কোনও বিচারপতি সরকার গঠিত কমিশনের চেয়ারম্যান হতে পারেন কি? যদি হন, তাহলে অন্যান্য বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ইতিমধ্যেই প্রশ্নও তুলেছেন বাম নেতারা। তাঁদের প্রশ্ন, সরকারি বিরোধী কোনও মামলায় নিরপেক্ষ রায়দান হবে কি?
যদিও এই বিতর্কের সমাধান সূত্র রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাতেই। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, কোনওকারণে বিচারপতি অসীমকুমার রায় কমিশনের নেতৃত্বে থাকতে না পারলে, কমিশনের মাথায় থাকবেন ভাইস চেয়ারম্যান অনিল ভার্মা। আর পাঁচ মাস পরেই বিচারপতি অসীমকুমার রায় অবসর নেবেন। তখন তিনিই দায়িত্ব নেবেন।
আর দ্বিতীয় বিতর্কিত বিষয়টি হল প্রবীণ চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক রোগী মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বামী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ডা. মুখোপাধ্যায়কে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে আমেরিকা থেকে কলকাতায় এসেছিলেন গবেষক কুণাল সাহা।
তাঁর স্ত্রী অনুরাধা সাহা কলকাতায় এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডা. মুখোপাধ্যায়ের অধীনে ভর্তি হন তিনি। অভিযোগ, ভুল ইঞ্জেকশনের জন্য ত্বকের মারাত্মক সমস্যার ফলে মুম্বইয়ের হাসপাতালে মৃত্যু হয় অনুরাধাদেবীর। অভিযোগ, কলকাতাতেই চিকিৎসার ভুলে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।