মমতার উপস্থিতিতেই রণক্ষেত্র দার্জিলিং, মোর্চা এবং পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ
ফের একবার হিংসার আগুনে জ্বলে উঠল পাহাড়। যার জেরে এখন দার্জিলিং এবং তার সংলগ্ন এলাকাজুড়ে আতঙ্ক। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে এই ঘটনায় ঠিক কত জন মোর্চা সমর্থক এবং পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন তা জানা যায়নি।
পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ হতে না হতেই হিংসাত্মক হামলা চালাল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বৃহস্পতিবার পুলিশ-মোর্চা সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পাহাড়। মমতার মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়ে এদিন সকাল থেকেই পাহাড়ে অসন্তোষ ছড়াচ্ছিল মোর্চা সমর্থকদের মধ্যে। রাজভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ হতেই মোর্চার বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ে।
শেষপর্যন্ত মোর্চার বিক্ষোভ সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে মোর্চা সমর্থকরা। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, করা হয় অগ্নিসংযোগও।বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চলে বোমাবাজি।পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়।
মোর্চার সমর্থকদের হিংসাত্মক তাণ্ডবে পুলিশের ৪টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এমনকী, একটি বাসেও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। বেশকিছু দোকানেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।ইটের আঘাতে মহিলা পুলিশ কর্মী-সহ বেশকয়েক জন পুলিশ কর্মী জখম হন।
বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের রাজভবনে ৪৫ বছর পর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল। পাহাড়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক চলাকালীন বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে মোর্চা। প্রথমে মিছিল করে জমায়েত হন মোর্চা কর্মী-সদস্যরা। যত সময় গড়াতে থাকে ততই হিংসাশ্রয়ী হয়ে ওঠে আন্দোলন। রণক্ষেত্রের রূপ নেয় এলাকা।
মন্ত্রিসভার বৈঠককে কেন্দ্র করে পাহাড়ে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছিল।পুলিশের সঙ্গে মজুত ছিল আধা সামরিক বাহিনীও। মোর্চার মিছিলের জেরে যানজটে স্তব্ধ হয়ে যায় পাহাড়ের বিভিন্ন রাস্তা। দার্জিলিংয়ে পৌঁছতে বেগ পেতে হয় মন্ত্রীদের কনভয়কে। কালিম্পংয়ের দোকানপাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কার্শিয়াং ও মিরিকেও। এলাকায় মোতায়েন করতে হয় বিশাল বাহিনী।