আদালতের রায়ে পবন রুইয়াকে এখনই গ্রেফতার নয়, সিআইডি ফের তলব করল জেসপ কর্ণধারকে
জেসপের কর্ণধার পবন রুইয়াকে এই মুহূর্তে গ্রেফতার করা যাবে না। অন্তর্বর্তী নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তী চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা, ২৬ অক্টোবর : জেসপের কর্ণধার পবন রুইয়াকে এই মুহূর্তে গ্রেফতার করা যাবে না। অন্তর্বর্তী নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তী চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিচারপতি রুইয়ার উদ্দেশ্যে বলেছেন, পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থাকে সমস্তরকম সাহায্য করতে হবে। কোনওরকম অসহযোগিতা হলে তদন্তকারীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে।
জেশপে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তর্ঘাতের অভিযোগে সিআইডি তলব করেছিল পবন রুইয়াকে। তিনি সিআইডি-র এই অন্তর্ঘাতের অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অন্তর্বর্তী নির্দেশিকা জারি করেন। আজই সিআইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রুইয়ার। সেই জেরা এড়ানোর জন্যই তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তিনি বিশেষ কাজে শহরের বাইরে আছেন বলেও আদালতে জানান।
যদিও সিআইডি-র পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, হাজিরা না দিলে সিআইডি গ্রেফতার করতে বাধ্য হবে জেশপ কর্ণধারকে। নিয়ম মেনেই তিনবার নোটিশ জারি করে তারপর গ্রেফতারের পথে হাঁটবে সিআইডি। হাইকোর্টের নতুন নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এটাই ছিল তদন্তকারীদের অবস্থান। এর মধ্যেই হাইকোর্ট জানিয়েছে, এখনই জেশপ কর্ণধারকে গ্রেফতার বা আটক নয়। তবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে তদন্তকারীদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
তাই আজই ফের তাঁকে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। সেই নোটিশে আগামীকালই হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও ভবানী ভবনে হাজিরা না দিলে তৃতীয় নোটিশ জারি করা হবে। তারপরই গ্রেফতার। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে পবন রুইয়া নিশ্চয়ই তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে বলে বিশ্বাস সিআইডি-র। এদিকে আগামীকালই জেশপে যাচ্ছেন ডিআইজি-সিআইডি।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলও বৃহস্পতিবার জেশপে যাবেন। নমুনা সংগ্রহ করবেন বিশেষজ্ঞরা। সিআইডি কোম্পানির শেষ অডিট রিপোর্ট বিশেষভাবে খতিয়ে দেখছে। সেখানে কোনও ধরনের জালিয়াতি ছিল কি না, থাকলে তা কী, কারা কারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, সে সবই এখন সিআইডি-র আতসকাঁচের তলায়। পবন রুইয়ার বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
বারবার কারখানায় নানা দুষ্কৃর্ম ঘটে চললেও তিনি নির্লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর ইন্ধনেই এই সমস্ত কাজ হত বলে অভিযোগ করে সিআইডি। যিদও কর্তৃপক্ষের তরফে ৯১টি অভিযোগ করা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে। সেই অভিযোগের পরও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। দমদম থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটিও অভিযোগ থানায় নথিভুক্ত হয়নি। উল্লেখ্য গতকালই জেশপ-দুর্নীতির ঘটনায় সিইও অশোক আগরওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়।