জলপাইগুড়ি শিশু পাচারকাণ্ডে জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিককে শোকজ জেলাশাসকের
জলপাইগুড়ি শিশু পাচারকাণ্ডে জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিককে শোকজ করলেন জেলাশাসক। অভিযোগ, শিশু পাচারের জাল বিস্তারে জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিকের গাফিতলি রয়েছে।
জলপাইগুড়ি, ২১ ফেব্রুয়ারি : জলপাইগুড়ি শিশু পাচারকাণ্ডে জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিককে শোকজ করলেন জেলাশাসক। অভিযোগ, জলপাইগুড়িতে শিশু পাচারের জাল বিস্তারের ক্ষেত্রে জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিকের গাফিতলি রয়েছে। জেলায় যে আন্তর্জাতিক শিশু পাচার চক্রের র্যাকেট কাজ করছে, তা তিনি জানতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।[শিশুপাচারে সিআইডি নজরে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলছেন দিলীপ]
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই খণ্ডন করে জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সাস্মিতা ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি সমস্তরকম তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। তাঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে, সবই ভিত্তিহীন। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্ত কিছু জানাচ্ছি। শোকজের উত্তর যথা সময়ে দেব।[চন্দনাদেবীকে নিয়ে পৃথক সংস্থা খুলে দত্তক ব্যবসা শুরু করতে চেয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী!]
শুধু জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিকই নন, এই চক্রের জান বিস্তারে গাফিলতি রয়েছে অনেক সরকারি আধিকারিকের। তাদের ভূমাকও জেলা প্রশাসনের নজরে রয়েছে। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিশদে কিছু বলতে রাজি না হলেও জেলা সুরক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, তিনি চন্দনা চক্রবর্তীকে চিনতেন। তবে জুহি চৌধুরী নামে কাউকে তিনি চেনেন না।
তাঁর স্বামী বিলাসবহুল যে গাড়ি ব্যবহার করেন, তা চন্দনাদেবীর সংস্থার তরফে দেওয়া, সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি সাস্মিতাদেবীর। আন্তর্জাতিক এই শিশু পাচার চক্রের ব্যাপারে তিনি সমস্ত কিছুই জানতেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এই অভিযোগের পরিপ্রক্ষিতে জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক বলেন, তাঁর জানা নেই আন্তর্জাতিক শিশু পাচারের ব্যাপারে। তবে আন্তর্জাতিক দত্তক ব্যবস্থা চালু ছিল।
এদিকে শিশু পাচারের তদন্তে নেমে উত্তরবঙ্গেও চিকিৎসকদের যোগ খুঁজে পেয়েছেন সিআইডি আধিকারিকরা। চার চিকিৎসক সিআইডি নজরে রয়েছেন। এফআইআর-এ চিকিৎসকদের নাম না থাকলেও, চিকিৎসকদের প্রত্যক্ষ যোগ খুঁজে পেয়েছে এই পাচার চক্রে।