শিশু পাচার চক্রের পর্দাফাঁস, শ্রীরামপুর থেকে উদ্ধার কড়েয়ার অপহৃত দুই শিশু, ধৃত ৪
মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণের জাল কেটে ব্যবসায়ীর দুই শিশুপুত্রকে উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার রাতে শ্রীরামপুরের একটি গোপন ডেরায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে গুন্ডা দমন শাখা।
কলকাতা , ২৪ অক্টোবর : মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণের জাল কেটে ব্যবসায়ীর দুই শিশুপুত্রকে উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার রাতে শ্রীরামপুরের একটি গোপন ডেরায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে গুন্ডা দমন শাখা।
হুগলি জেলা পুলিশের সহায়তায় পাচার-চক্রের চার পান্ডাকে জালে পুড়ল সমর্থ হন গোয়েন্দারা। শিশু অপহরণের মূল ষড়যন্ত্রী মামা নীরজ।
কড়েয়ায় ব্যবসায়ীর ২ শিশুকে অপহরণ করা হয় শুক্রবার। ওই রাতেই এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে কলকাতার কড়েয়া থানা এলাকায় ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। কড়েয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, দীর্ঘদিন কোনও সম্পর্ক না থাকলেও অপহৃত শিশু দু'টির মামা নীরজ বাড়িতে এসেছিল ওইদিনই। মাঝে খানিকক্ষণ সে বেপাত্তা হয়ে যায়। আবার রাতে বাড়িতে ফিরে আসে। তার গতিবিধি সন্দেহজনক ঠেকে পুলিশের। তারপর নীরজকে আটক করে জিজ্ঞাসা করতেই সব বেরিয়ে আসে।
পুলিশি জানায়, নীরজই চকোলেট দেওয়ার নাম করে দুই শিশুকে অপহরণ করে। তারপর শাগরেদদের হাতে তুলে দেয়। রাতে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়ায় তদন্তকারীদের সুবিধা হয় শিশুটিকে উদ্ধারে। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা জানতে পারেন শ্রীরামপুরের একটি ডেরায় লুকিয়ে রয়েছে ওই অপহরণকারীরা। সেখানেই রয়েছে অপহৃত দুই শিশুও।
হুগলি জেলা পুলিশের সহায়তায় ওই ডেরায় হানা দেয় গুন্ডা দমন শাখা। সেখান থেকে তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। অপহৃত দুই শিশুকেও উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃত শাজাহান ও আলিকে জেরা করে হুগলির কোন্নগর থেকে আরও দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলে যাওয়ার পথে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে অপহরণ করা হয় দুই শিশুকে৷ ব্যবসায়ীর ৫ বছরের ছেলে ও ৬ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে অপহরণকারীরা শ্রীরামপুরের ডেরায় নিয়ে যায়৷ সেখানে একটি ভাড়াবাড়িতে আটকে রাখা হয় শিশুদের৷ এরপর বাড়িতে ফোন করে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা৷ সেই ফোনকলের সূত্র ধরেই অপহরণকারীদের জালে পুরতে সমর্থ হয় পুলিশ।