জলপাইগুড়ি শিশু পাচারকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, সিআইডি-জালে দুই সরকারি আধিকারিক
জলপাইগুড়িকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। এবার সিআইডি-র জালে দুই সরকারি আধিকারিক। টানা চার ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার দার্জিলিং জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক ও শিশু কল্যাণ কমিটির সদস্য।
জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং, ৪ মার্চ : জলপাইগুড়ি শিশু পাচারকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। এবার সিআইডি-র জালে দুই সরকারি আধিকারিক। টানা চার ঘণ্টা জেরার পর সিআইডি তদন্তকারী আধিকারিকরা গ্রেফতার করেন দার্জিলিং জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক মৃণাল ঘোষ ও শিশু কল্যাণ কমিটির সদস্য বিশিষ্ট চিকিৎক দেবাশিস চন্দ্রকে। তবে জলাইগুড়ি শিশু আধিকারিক সাস্মিত ঘোষ সিআইডি নজরে থাকলেও, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।[শিশু পাচারকাণ্ড : বিজেপির মহিলা সাংসদকে নোটিশ পাঠাতে চলেছে সিআইডি!]
সিআইডি তদন্ত নেমে জানতে পেরেছে, এই দুই আধিকারিক সরাসরি শিশু পাচারের সঙ্গে যুক্ত। জেরার মুখে তাঁদের কথাবার্তায় বহু অসঙ্গতি মিলেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে অনেক তথ্যপ্রমাণও উঠে এসেছে সিআইডি-র হাতে। সিআইডি তদন্ত নেমে জানতে পেরেছে, বিমলা শিশুগৃহে ভিজিটিং ডক্টর ছিলেন দেবাশিস চন্দ্র। চন্দনার থেকে টাকা নিয়ে তিনি শিশু পাচারে সহযোগিতা করতেন বলে অভিযোগ।[শিশু পাচারকাণ্ডে সিআইডি নজরে এবার জুহির বাবা রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী!]
দার্জিলিং জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিকের সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল এই বিমলা শিশু গৃহের। পুলিশি জেরায় ধৃত মৃণাল ঘোষ এই কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি সিআইডি আধিকারিকদের। এর আগে জলপাইগুড়ি শিশু পাচার চক্রের মূল অভিযুক্ত চন্দনা চক্রবর্তীর মুখে জুহির কথা উঠে এলেও এই মৃণাল ঘোষের ব্যাপারে স্পিকটি নট ছিলেন তিনি। চন্দনাদেবী এদিন দাবি করেছেন, জুহি শুধু সাহায্য করেছিল।[জুহিকে পালাতে সাহায্য করেন এক যুব বিজেপি নেতা, সিআইডির নজর সেদিকেও!]
এদিকে শিশু পাচারের ঘটনায় দার্জিলিং জেলা চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটিকে শোকজ করেছেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব। কমিটির চেয়ারম্যান সুবেশনাকে শোকজ চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবারের মধ্যেই তাঁকে শোকজের উত্তর দিতে বলা হয়েছে। এই কমিটির বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অনিয়মের অভিযোগ ছিল। শোকজের উত্তর পেলেই ব্যবস্তা গ্রহণ করবেন জেলাশাসক।[শিশুপাচার কাণ্ড : বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে বিস্ফোরক জুহি]