শিশু পাচারকাণ্ডে সিআইডি নজরে এবার জুহির বাবা রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী!
জুহি চৌধুরীর পর জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ডে এবার নজরে তাঁর বাবাও। সিআইডি তদন্তকারীরা মনে করছেন, শিশু পাচারকাণ্ডে প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর।
জলপাইগুড়ি, ৩ মার্চ : জুহি চৌধুরীর পর জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ডে এবার নজরে তাঁর বাবাও। সিআইডি তদন্তকারীরা মনে করছেন, শিশু পাচারকাণ্ডে প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর। মেয়ে সিআইডি জালে ধরা পড়তেই বাবা বেপাত্তা। সিআইডি জুহির বাবার রবীন্দ্রনারায়ণবাবুকেও জেরা করতে চাইছে। সেই কারণেই তাঁর খোঁজে সিআইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরা।[শিশুপাচারকাণ্ডে গ্রেফতার জুহি পদ থেকে অপসারিত, তবে পাশে থাকার বার্তা বিজেপি-র]
বিজেপি-র অস্বস্তি ক্রমশই বাড়ছে। যদিও রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীকে পদ থেকে আগেই অপসারিত করে দিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। জুহি গ্রেফতার হতেই বিজেপি নেতৃত্ব তড়ঘিড়ি জুহি ও তাঁর বাবাকে পদ থেকে অপসারিত করে হাত ধুয়ে নিতে চায়। কিন্তু তাতে দলের গা থেকে কালিমা মুথে যাবে না। নতুন করে অস্বস্তি বাড়িয়ে বিজেপির যুব নেতা সুব্রত সরকারের নাম উঠে এসেছ শিশুপাচারকাণ্ডে।[সাধু সেজে সিআইডি-র অভিযান, নাটকীয় কায়দায় অজ্ঞাতবাস থেকে জালে জুহি]
জুহিকে আত্মগোপনে করে থাকতে সাহায্য করেছিল সুব্রত, এমনই তথ্য উঠে এসেছে সিআইডি-র জেরায়। যদিও বিজেপি-র যুবনেতা সুব্রত সরকার এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, দু'বছর জুহির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি। এই বিষয়টির পাশাপাশি জুহির বাবার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে পড়েছে। সেই কারণেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিআইডি।[শিশুপাচার কাণ্ড : বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে বিস্ফোরক জুহি]
কিন্তু এই আশঙ্কা করে জুহির বাবাও আপাতত অজ্ঞাতবাসে গিয়েছেন। সিআইডি তাঁর কোনও হদিশ পায়নি। এখন দেখার জুহির পর শিশু পাচারকাণ্ডে তাঁর বাবাও সিআইডি জালে ধরা পড়েন কি না।[জুহিকে পালাতে সাহায্য করেন এক যুব বিজেপি নেতা, সিআইডির নজর সেদিকেও!]
উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাতে সন্ন্যাসী সেজে একেবারে নাটকীয় কায়দায় দার্জিলিংয়ের বাতাসি থেকে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীকে গ্রেফতার করে সিআইডি। জুহির ১০ দিনের অজ্ঞাতবাসের ইতি ঘটে। এখন জুহির বাবা অজ্ঞাসবাস ভঙ্গ করতে তৎপর সিআইডি।