ফের অমানবিকতার অভিযোগ হাসপাতালে, মৃত সন্তান কোলে বিধায়কের অফিসে ধরনায় বাবা-মা
হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ বিনা চিকিৎসায় পড়েছিলেন প্রসূতি। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলেও কোনও চিকিৎসক ও নার্স এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ তোলা হয়েছে জীবনতলার খুঁচিতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিরুদ্ধে
ফের চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায়। সুবিচার চেয়ে মৃত সন্তান কোলে রাতভর বিধায়কের অফিসে ধরনায় বসলেন বাবা-মা।
এই ঘটনার খবর পৌঁছলে পরে পুলিশ এসে আশ্বাস দেওয়ায় ধরনা ওঠে। মৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে।
মুখ্যমন্ত্রী প্রতিদিন নিয়ম করে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবাকে নিখুঁত করার প্রয়াস চালাচ্ছেন। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে চিকিৎসা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। তারই মধ্যে রাজ্যের হাসপাতালে ফের অমানবিক ঘটনা ঘটায় বিস্মিত সকলেই।
জানা গিয়েছে, চিকিৎসায় গাফিলতির এই অভিযোগ তোলা হয়েছে জীবনতলার খুঁচিতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিরুদ্ধে। প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে এই হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছিলেন জীবনতলার ভবেনের হাটের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ কর্মকারের স্ত্রী পূজা।
অভিযোগ, এই হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ বিনা চিকিৎসায় পড়েছিলেন তিনি। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলেও কোনও চিকিৎসক ও নার্স এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। চিকিৎসককে ডাকতে গেলেও দুর্ব্যবহার করা হয় রোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। এরপর পূজাদেবী পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর শিশুপুত্রের অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। তাও হাসপাতাল সুব্যবস্থা নেয়নি।
পরিবারের অভিযোগ, সেইসময়ে হাসপাতাল থেকে বলা হয় কলকাতায় নিয়ে গেলে শিশুটি সুস্থ হয়ে যাবে। সেইমতো বাঙ্গুর হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে আসা হলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগেই মৃত্যু হয়েছে শিশুর।
এরপরই মৃত শিশুকে নিয়ে সটান স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শওকত মোল্লার অফিসে চলে আসেন বাবা-মা। মৃত শিশু কোলে তাঁরা ধরনায় বসেন। যতক্ষণ না তাঁরা সুবিচার পান, ততক্ষণ ধরনা চলবে বলে জানান। সেইমতো রাতভর ধরনা চলতে থাকে। পরে পুলিশ এসে আশ্বাস দেওয়া পর ধরনা ওঠে। পুলিশ চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
{promotion-urls}