সিঙ্গুরে বুধবার ক্ষতিপূরণের চেক বিলি, দেওয়া হবে পাট্টাও, বৈঠকের জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতা, ১২ সেপ্টেম্বর : বুধবারই সিঙ্গুরে ৮০০ চেক বিতরণ করা হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১০ দিনে চাষিদের জমি ফেরতের প্রক্রিয়ার কাজ দ্রুত এগিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো, নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই চাষিদের ক্ষতিপূরণ ও জমি ফেরত দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই ৬২০ একর জমি চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে বলে তিনি জানান। মোট ৯১১৭ জনকে জমির দলিলও দেওয়া হবে। বুধবারে সিঙ্গুরে 'মাটির জয়- মানুষের জয়' উৎসবে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকই সেদিন কৃষকদের হাতে ক্ষতিপুরণের চেক ও জমির পাট্টা দেওয়া হবে।
কোর্টের নির্দেশের পরে বিগত ১০ দিনে জমি ফেরাতে যা যা কাজ হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ চিঠির আকারে সুপ্রিম কোর্টের কাছে জমা দেওয়া হবে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সিঙ্গুর মামলায় চলার সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের ২ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হত। সেই অনুদান আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত কৃষকরা পাবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তবে সিঙ্গুর উৎসবের দিন জেলা প্রশাসনিক বৈঠক হচ্ছে না। নিরাপত্তার কারণেই ওইদিন তা বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ওই দিন আমাদের অনেকগুলি প্রকল্প উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক চাষিদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে প্রশাসনিক বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসনিক বৈঠক হবে ২৯ সেপ্টেম্বর। ওইদিনই উদ্বোধন করা হবে প্রকল্পগুলি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এটি রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠান। সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় যাঁরা পাশে ছিলেন তাঁরাও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন।'
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রাজ্য নিজে থেকেই চিঠি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে সিঙ্গুরের জমি ফেরত ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাবে। কারণ, এটা রাজ্যের দায়বদ্ধতা। যত দ্রুত সম্ভব এই কাজ শেষ করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য। সুপ্রিম কোর্ট যে সময় নির্ধারণ করেছে, তার অনেক আগেই জমি ফেরতের কাজ শেষ করাই তাঁদের লক্ষ্য।
'মানুষের জয়, মাটির জয়' শীর্ষক সিঙ্গুর উৎসবে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও থাকবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো মন্ত্রীরাও। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজ্যে যে এখন বিনিয়োগের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা মিউনিখে শিল্পকর্তাদের তিনি বোঝাতে পেরেছেন। তাঁরা বুঝেওছেন৷ শীঘ্রই বাংলায় বিনিয়োগের বন্যা বইবে।