রাজ্যকে বঞ্চনা করেই সরকারি কর্মীদের ডি এ বাড়াচ্ছে কেন্দ্র, তোপ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের
৪৯টি প্রকল্প বন্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডি এ বাড়াচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রকে তোপ দেগে সমালোচনার জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা, ২৮ অক্টোবর : ৪৯টি প্রকল্প বন্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডি এ বাড়াচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রকে তোপ দেগে সমালোচনার জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি এদিন সাফ জানালেন, রাজ্যও যদি উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করে দেয়, তবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ওই পরিমাণ ডি এ বাড়াতে পারে। কেন্দ্রের ওই মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে কোনও গৌরব নেই। রাজ্যকে বঞ্চনা করেই ওই মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়েছে।
কেন্দ্রের মন্ত্রিসভায় দুই শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় স্বভাবতই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের হতাশা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার এই ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ডান-বাম উভয় কর্মচরী সংগঠনের পক্ষ থেকেই সমালোচনা উড়ে আসতে থাকে। বিরোধী সংগঠনের পক্ষ থেকে সমালোচনা করা হয়, 'বিভিন্ন উৎসবে, মেলায় বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে চলেছে সরকার। অথচ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।'
তৃণমূল কর্মচারী সংগঠনগুলিও সমালোচনা করতে ছাড়েনি। তাঁরা কারণ না দর্শিয়ে শুধু হতাশা ব্যক্ত করেছেন। কেন্দ্র ও রাজ্যের কর্মচারীদের মধ্যে বেতন কাঠামোয় ফারাকের কথা তুলে ধরেছেন। এদিনই সেই হতাশা ও সমালোচনার জবাব দিতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন পার্থবাবু। তিনি বলেন, বিগত সরকারের দেনার বোঝা মাথায় নিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছিল রাজ্যের তৃণমূল সরকারের। কেন্দ্রের কাছে বারবার দরবার করা হয়েছে, সুদ মকুবের জন্য। কেন্দ্রীয় সরকার পাশে দাঁড়ায়নি রাজ্যের। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা চলছে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে।
তার উপর কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এখন আবার উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিই বন্ধ করে দিচ্ছে। সেই সমস্ত প্রকল্পের টাকা থেকেই কোন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা বাড়ানো হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। কিন্তু তৃণমূল সরকার কখনও ওই ধরনের ধ্বংসাত্মক চিন্তা করে না। আমাদের সরকারের অ্যাজেন্ডাই হল, আগে উন্নয়ন পরে অন্য কিছু। বিগত পাঁচ বছরে রাজ্যের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে কতটা পরিবর্তন হয়েছে। তাঁর আবেদন, রাজ্যের স্বার্থে কর্মীরা আরও একটু সহিষ্ণু হন।