প্রার্থীরা পা বাড়িয়ে তৃণমূলে, প্রিয়রঞ্জনের গড়ে সঙ্কটে কংগ্রেস
পুরভোটের আগে ঘোর অন্ধকার নেমে এসেছে রায়গঞ্জ কংগ্রেসে। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির গড়ে প্রায় মুছে যাওয়ার পথে হাত। ঘোর দুর্দিনেও রায়গঞ্জ ফেরায়নি কংগ্রেসকে। আজ সঙ্কটের মুখে তারা।
কলকাতা, ১৯ এপ্রিল : পুরভোটের আগে ঘোর অন্ধকার নেমে এসেছে রায়গঞ্জ কংগ্রেসে। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির গড়ে প্রায় মুছে যাওয়ার পথে হাত। ঘোর দুর্দিনেও রায়গঞ্জ ফেরায়নি কংগ্রেসকে। তাই আজও রায়গঞ্জ পুরসভার ক্ষমতা ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে কংগ্রেস। সেই রায়গঞ্জেই এবার ঘোর অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে জাতীয় দল। আসন্ন পুরভোটে আদৌ কংগ্রেস লড়াই করতে পারবে কি না, তা-ই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে কার্যত খাবি খাচ্ছে জেলা কংগ্রেস। চার ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকের পরও কোনও সমাধান সূত্র বের করতে পারেননি দীপা দাশমুন্সি ও মোহিত সেনগুপ্তরা। তাই তৃণমূলের ধাক্কা সামলাতে শেষমেশ প্রদেশ কংগ্রেসের কোর্টেই বল ফেলেছেন তাঁরা। সংকটমোচনের লক্ষ্যে তড়িঘড়ি রায়গঞ্জ উড়ে যাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনিই ঠিক করবেন রায়গঞ্জে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ।
রায়গঞ্জে সিপিএমের সঙ্গে জোট গড়ে কংগ্রেস এবার পুরভোটে লড়বে, তা একপ্রকার স্থির হয়ে গিয়েছিল। ২৭ আসনের পুরসভাতে কংগ্রেস ১৯টি আসনে ও বামেরা বাকি ৮টি আসনে প্রার্থী দেবেন স্থির হয়েছিল। চূড়ান্ত হয়েছিল প্রার্থী তালিকাও। তারপরই জেলা সভাপতি তথা রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্তের ডানহাত বলে পরিচিত সন্দীপ বিশ্বাসের দল পরিবর্তনই সব অঙ্কে জল ঢেলে দেয়।
এখন শোনা যাচ্ছে শুধু সন্দীপ বিশ্বাসই নন, ঘোষিত অনেক কংগ্রেস প্রার্থীই তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন। এমতাবস্থায় কংগ্রেসের পক্ষে ভোট যুদ্ধে লড়াই করা দুস্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা পরিস্থিতি তাতে নিশ্চিত করেই বলা যায়, এবার ভোটের আগেই যে রায়গঞ্জ তৃণমূলের দিকে ঢলে পড়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা শাসকদলে ভিড়েছেন। এবার ভোট ঘোষণা হতেই ভাঙন তীব্র আকার নিয়েছে রায়গঞ্জ কংগ্রেসে।
এমতাবস্থায় প্রদেশে কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর কাছে এমন দাওয়াই কি রয়েছে, যাতে প্রায় ঘুমিয়ে পড়া কংগ্রেসকে আবার জাগিয়ে তোলা যায় রায়গঞ্জে। দীপা দাশমুন্সি বা মোহিত সেনগুপ্ত-রা বুঝতে পারছেন না, কীভাবে পার্টিটাকে ধরে রাখা যায়। তবে কি এতদিনের সংগঠন এক লহমায় তৃণমূলে দমকা হাওয়ায় ভেঙে পড়বে? জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব এখন তাকিয়ে বৃহস্পতিবার অধীর চৌধুরী দিকেই।