বনধের দিনে বাস না চালানোর ‘শাস্তি’, বাস রুট বন্ধ করে দিল তৃণমূল
বনধের দিনে বাস বের না করার ‘শাস্তি’ দিতে বাস রুটই বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র বিরুদ্ধে। যাত্রী সাধারণ ঘোর বিপাকে পড়েন শাসকদলের নেতা-কর্মীদের দৌরাত্ম্যে।
বীরভূম, ২৯ নভেম্বর : বনধের দিনে বাস বের না করার 'শাস্তি' দিতে বাস রুটই বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বীরভূমের নানুরে বাস চালাতে দেওয়া হয়নি। যাত্রী সাধারণ ঘোর বিপাকে পড়েন শাসকদলের নেতা-কর্মীদের দৌরাত্ম্যে। বাস বন্ধ করে আইএনটিটিইউসি নোতাদের সদর্প ঘোষণা, গতকাল বনধের দিনে বাস বের করেনি, তাই বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নোট বাতিলের জেরে মানুষের দুর্ভোগের প্রতিবাদ দেশজুড়ে আক্রোশ দিবসে বাংলায় বনধ ডেকেছিল বামপন্থী ১৮টি দল। তাদের সেই বনধ কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। অধিকাংশ এলাকাতেই এই বনধের প্রভাব পড়েনি। যার জেরে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও মেনে নিয়েছেন, তাঁদের স্বল্প সময়ের মধ্যে বনধ ডাকার এই সিদ্ধান্তে ভুল ছিল।
কেন বামেরা ব্যর্থ হল, তা নিয়ে পর্যালোচনার মাঝেই বনধের দিন বাস না চালানোর ঘটনায় তৃণমূলী দৌরাত্ম্যের ঘটনা সামনে চলে এল। যে সমস্ত বাস বনধের দিন অর্থাৎ সোমবার বের হয়নি রাস্তায়, সেই সমস্ত বাসকে চলতে দিচ্ছে না তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। একেবারে ফতোয়া জারি করে আইএনটিটিইউসি বন্ধ করে দিয়েছে রুট। মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছেন রাস্তায় বেরিয়ে।
যে দল বনধের রাজনীতির বিরুদ্ধে, সেই দলের প্রতিনিধি হয়ে আইনএনটিটিইউসি নেতা জানারুল মল্লিক সমর্থন করছেন এই বাস বন্ধকে। তাঁর কথায়, গতকাল বনধের দিনে বাস না বের করার শাস্তি দেওয়া হচ্ছে ওই সমস্ত বাস মালিক ও বাসকর্মীদের। আইএনটিইউসি নেতা ফারুক আহমেদ বলেন, 'বীরভূমের নানুরে বাসাপাড়ায় বাস বন্ধ করে মানুষের হয়রানি বাডিয়েছে তৃণমূল। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছে। অবিলম্বে বাসরুট চালু করার দাবি জানিয়েছি।'