বিশ্বকাপের ‘ক্যানভাস’-এ ব্র্যান্ড বাংলাকে তুলে ধরে বিশ্বের দরবারে পৌঁছতে চাইছেন মমতা
বিশ্বের দরবারে বাংলাকে তুলে ধরতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার হাতিয়ার করছেন বিশ্বকাপকে। ভারতে এই প্রথম বিশ্বকাপের আসর বসছে। সেই সুযোগ দারুনভাবে কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা, ১৬ ডিসেম্বর : বিশ্বের দরবারে বাংলাকে তুলে ধরতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার হাতিয়ার করছেন বিশ্বকাপকে। ভারতে এই প্রথম বিশ্বকাপের আসর বসছে। সেই সুযোগ দারুনভাবে কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সাফল্য তুলে ধরতে তিনি অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের আসরকেই ক্যানভাস করতে চাইছেন। তাই কীভাবে বাংলার সাফল্য বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা যায়, তা নির্ধারণ করতে তিনি সমস্ত দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি চাইছেন আর দেরি না করে ব্র্যান্ড বাংলার রূপরেখা তৈরি করে ফেলতে।
যখনই কিঞ্চিৎ সুযোগ পেয়েছেন বাংলাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী সবসময়ই বাংলাকে বিশ্বের দরবারে শ্রেষ্ঠ আসনে দেখতে চেয়েছেন। সেই কারণেই মাদারের সন্ত হওয়ার অনুষ্ঠানেও ভ্যাটিকান সিটিতে তিনি বাংলার জয়গান গেয়ে এসেছিলেন। রোমের রাজপথ তিনি বাংলা গানের সুরে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। জার্মানির শিল্প আসরে বাংলার সুস্বাদু খাবারের স্বাদ বিতরণ করেছিলেন। যা ভেবেছেন, তা কিন্তু করে দেখিয়েছেন তিনি। এবারও তাই বিশাল সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না কোনওমতেই।
আগামী ৬ থেকে ২৮ অক্টোবর ভারতে বিশ্বকাপের যে আসর বসতে চলেছে, সেখানে গোটা বিশ্বের মানুষ উপস্থিত হবেন। তাঁদের সামনে বাংলাকে কীভাবে উপস্থাপনা করা যায়, সেই ভাবনা এখন থেকেই মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় ঢুকেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক হয়েছে ফিফা কর্তাদের।
ফিফার
তরফে
রাজ্য
প্রশাসনের
কাছে
আবেদন
জানানো
হয়
সল্টলেক
স্টেডিয়ামে
যাতে
সুষ্ঠুভাবে
খেলার
আয়োজন
করা
যায়,
সেই
বিষয়টি
দেখার।
তখনই
ফিফাকে
জানিয়ে
দেওয়া
হয়েছে,
ফুটবলের
এই
আসর
নিয়ে
রাজ্য
সরকারেও
কিছু
ভাবনা
রয়েছে।
মমতার
সরকার
মনে
করছে,
এত
বড়
আসর
এর
আগে
বসেনি
কলকাতায়।
বাংলার
রক্তে
যেমন
ফুটবল
রয়েছে,
তেমনই
এই
ফুটবল
নিয়ে
গোটা
পৃথিবীর
উন্মাদনা
রয়েছে।
তাই
এই
ফুটবলের
আসর
গোটা
বিশ্বে
সম্প্রসারিত
হবে।
টিভি, রেডিও, সংবাদমাধ্যম- সম্প্রসারণের দুনিয়াটা বিশাল বড়। অন্তত ২০ কোটি মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই ম্যাচ দেখবেন। বিশ্বের অন্তত ২০০ দেশের নজর থাকবে কলকাতার দিকে।
প্রচারের এরকম বিশাল মাত্রার সুযোগ পেয়ে কেউ কখনও হাতছাড়া করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো করবেনই না। এখন থেকেই ছকে ফেলেছেন সমস্ত পরিকল্পনা। আর একেবারেই সবুর করতে রাজি নন তিনি। বিগত ছ'বছরে তার সরকার কী করেছে, কী পরিকল্পনা নিয়েছে, কী প্রকল্প চালু করেছে, সবই এই বিশ্ব ফুটবল আসরে তুলে ধরতে চান তিনি। এটা আসলে বিশ্বের কাছে বাংলার ব্র্যান্ডকে তুলে ধরার একটা প্রয়াস মাত্র।
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বাংলাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য বিশ্ব বাংলা ব্র্যান্ডের সূচনা করেছেন। এই ব্র্যান্ডের মাধ্যমে মার্কেটিংও করেছে মমতার সরকার। তবে তা রাজ্যের বাইরে সেভাবে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। এবার যে বিরাট বড় একটা ক্যানভাস পেয়েছেন, সেখানে যদি তুলে ধরা যায় বাংলাকে, তবে অপূর্ণ সাধ পূরণ হতেই পারে মুখ্যমন্ত্রীর।