সোনারপুর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, বিধ্বংসী আগুন
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২০ সেপ্টেম্বর : ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ৷ বিধ্বংসী আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নিল পুরো কারখানাকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর। প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা কারখানায়। দমকলের ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই বিধ্বংসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাজি কারখানার পাশেই ছিল একটি বিএড কলেজ। অগ্নিকাণ্ডের পরই ছুটি দিয়ে দেওয়া কলেজের। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ছাত্রছাত্রীরা। বিধ্বংসী আগুন নিমেষে গোটা কারখানায় ছড়িয়ে পড়লেও হতাহতের খবর নেই। সঙ্কীর্ণ পথের জন্য দমকল ঢুকতে অসুবিধা হওয়া দমকল কর্মীদের আগুন নেভানোর কাজে সমস্যায় পড়তে হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই সোনারপুরের ওই গোবিন্দপুর গ্রামে চলছিল এই বাজির কারখানা৷ আতসবাজির আড়ালে মূলত শব্দবাজি তৈরি হত বলেই প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ ও দমকল। তা না হলে এতবড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে না বলে তদন্তকারীদের অভিমত। আদৌ ওই কারখানা বৈধ উপায়ে চলছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও ছিল কি না খতিয়ে দেখবে দমকল। দমকলের তরফ থেকে তারপর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আচমকাই একের পর বিস্ফোরণ হতে শুরু করে কারখানায়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে চারিদিক৷ আগুন ছড়ায় দ্রুত৷ ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পুরো এলাকা৷ ঘন জনবসতি থাকায় আগুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়৷ তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলকে৷ প্রথমে ২টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কারণ আগুন যাতে এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। পরে আবারও একটি ইঞ্জিন কাজ শুরু করে।
এই বিস্ফোরণ ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর প্রশ্ন উঠে পড়েছে, জনবহুল এলাকায় কীভাবে চলছিল একটি বাজির কারখানা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করবে পুলিশ৷