তৃণমূলের ঝাণ্ডার তলাতেই দুষ্কৃতীদের আশ্রয়, অভিযোগ তুলে সরব দিলীপ ঘোষ
দুষ্কৃতীদের নিরাপদ আশ্রয় তৃণমূলের ঝাণ্ডার তলায়, অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতির। দাবি করেন, বিজেপি নয়, তৃণমূলই আশ্রয় দিচ্ছে গুণ্ডাদের।
দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের ঝাণ্ডার তলায় নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারিতে এক সভায় তিনি বলেন, 'যত দুষ্কৃতী সব আশ্রয় নিচ্ছে তৃণমূলে। কারণ তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরলেই গায়ে হাত দেবে না পুলিশ। এই ভরসাতেই শাসকদলে ভিড় গুণ্ডা-বদমায়েশদের।' পুলিশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'এ রাজ্যে পুলিশের কোনও কাজ নেই। শাসকদলে আশ্রয় নেওয়া দুষ্কৃতীদের নিরাপত্তা দেওয়াই একমাত্র কাজ।'
মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করেই এদিন কড়া ভাষায় দিলীপ ঘোষ সমালোচনা করেন তৃণমূলের। সোমবারই বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'দিল্লির শাসকদল বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে আসছে। দিল্লি থেকে গুণ্ডারা আসছে, আর মুঙ্গের থেকে অস্ত্র। এসব এখানে বরদাস্ত করা হবে না।'
মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, কেন বাংলা থেকে এত অস্ত্র ধরা পড়ছে? কেনই বা এত দুষ্কৃতী আসছে? তিনি বলেন, আসল কারণ হল গুণ্ডা ও সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয় হচ্ছে এই বাংলা। এখানে তৃণমূলের ঝাণ্ডা হাতে নিলেই সাত খুন মাপ। কেউ আর গায়ে হাত দেবে না। বিজেপি নয়, তৃণমূলই আশ্রয় দিচ্ছে গুণ্ডাদের।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, বোমা কারখানা চলবে না। অবিলম্বে সমস্ত অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। আইসি থেকে এসপি, ডিআইজিকে এই নির্দেশ কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে তিনি দলের অন্দরে আশ্রয় নেওয়া দুষ্কৃতীদেরও বার্তা দেন। তাঁদের শায়েস্তা করতে নিদান জারি করেন। নাম ধরে চিহ্নিত করে দেন অপরাধী।
এদিকে নবান্ন অভিযানে বাম কর্মী সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জকে একহাত নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, এভাবে বাম ও কংগ্রেসকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন দিদি। এই লাঠিচার্জকে নাটক বলে কটাক্ষ করেন তিনি।দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেস এই সব করছে সিপিএমকে অক্সিজেন পাইয়ে দেওয়ার জন্যই।