শেষ রক্ষা হল না, মোবাইল ফোনই ধরিয়ে দিল বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী জুহিকে
শেষ রক্ষা হল না। মোবাইল ফোনই ধরিয়ে দিল বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী জুহিকে। নেপাল পালানোর আগে মোবাইলে পরিজনদের সঙ্গে কথা বলাই কাল হল।
জলপাইগুড়ি, ১ মার্চ : শেষ রক্ষা হল না। মোবাইল ফোনই ধরিয়ে দিলে বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী জুহিকে। নেপাল পালানোর আগে মোবাইলে পরিজনদের সঙ্গে কথা বলাই কাল হল। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে সিআইডি পাকড়াও করল জুহি চৌধুরীকে। শিলিগুড়ি মহকুমার ভারত-নেপাল সীমান্তে খড়িবাড়িতেই আটকে গেলেন জুহি। সিআইডি ঘিরে ফেলল তাঁকে।[শিশুপাচারকাণ্ডে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে অবশেষে গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী]
জলপাইগুড়ি শিশু পাচারকাণ্ডে জুহির নাম ওঠার পরই গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। তদন্তকারীদের ধারণা ছিল দিল্লিতে পালিয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু কিন্তু সেই বিভ্রন্তি দূর হতে কেটে যায় দশদিন। দিল্লিতে প্রতিনিধি পাঠানোর পরই সিআইডি বুঝতে পারে দিল্লিতে জুহি নেই। তখন যে বিজেপির মহিলার মোর্চা নেত্রী দেশ ছাড়ার ছক কষেছে জানতে পারেননি তদন্তকারীরা। শেষমেশ কলকাতার সাইবার বিশেষষজ্ঞের সহযোগিতায় জুহির মোবাইলের টাওয়ার লোকশন পেয়ে গেল সিআইডি। আর তাতেই পাকড়াও নেত্রী।[শিশুপাচারকাণ্ডে জুহির গ্রেফতারের পর চাপ বাড়ল বিজয়বর্গীয়-রূপা-দিলীপদের]
শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকায় জুহির মোবাইলটি দীর্ঘদিন পরে অন পায় সিআইডি। তাঁর আত্মীয় স্বজনের ফনে যোগাযেগ করার চেষ্টা করে জুহি। সিআইডি নজরদারি ছিলই। জুহিকে ট্র্যাক করে ফেলে সিআইডি। দেরি না করে রাতেই জাল পাতা হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধরা পড়ে যান জুহি। মাটিগাড়া থানায় নিয়ে এসে চলে দফায় দফায় জেরা।[শিশুপাচারকাণ্ডে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আটকাহন]
বুধবার জলপাইগুড়ি আদালতে তাঁকে পেশ করা হবে। তারপর নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে জুহিকে। জুহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রভাবশালীদের নাম জানার চেষ্টা চালাবে সিআইডি। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়দের ভূমিকা নিয়েও জুহিকে প্রশ্ন করবে।